গাজীপুরের কালীগঞ্জের তুমলিয়া ইউনিয়নের ভাইয়াসূতি হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার সেই তিন ছাত্র অবশেষে শিকলমুক্ত হয়েছে। ৬ নভেম্বর বুধবার বিকালে ইউএনও মো. শিবলী সাদিক তাদের শিকলমুক্ত করেন।
ছবিঃ ইত্তেফাক
ভাইয়াসূতি হাফিজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানার ছাত্র ইফাদ, ইয়াসিন ও আজিজুলের বয়স ১৩ বছর। তাদের এক পা ছিল লোহার শিকলে তালাবদ্ধ। তাদের ২৪ ঘণ্টাই কাটত লোহার শিকলে তালাবদ্ধ অবস্থায়। এভাবেই প্রতিদিনের খাওয়া-দাওয়া, টয়লেট-গোসল, লেখাপড়া, ঘুম সবই চলছিল। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি ইউএনও মো. শিবলী সাদিকের নজরে আসে। পরে তিনি উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে বুধবার ভাইয়াসূতি হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায় যান। সেখানে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পান এবং ওই মাদরাসার হেফজখানায় অধ্যয়নরত ইফাদ, ইয়াসিন ও আজিজুলের পায়ের তালাবদ্ধ লোহার শিকল খুলে দেন। পাশাপাশি এ ধরনের ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় সেজন্য মাদ্রাসার শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটিকে সতর্ক করেন। ইউএনও মো. শিবলী সাদিক বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। এ ঘটনায় তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।