কুমিল্লার চান্দিনায় সেহেরী রান্নার সময় এক গৃহবধূকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টায় বাধা দেয়ায় ছুরিকাঘাতে স্বামীকে খুন করেছে প্রতিবেশি মামা। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে চান্দিনা থানা পুলিশ।
৩০ মে বৃহস্পতিবার রাতে চান্দিনা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড ছায়কোট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গৃহবধূর স্বামী নিহত ফারুক হোসেন (২৬) ছায়কোট এলাকার মৃত বাচ্চু মিয়ার ছেলে।
এ ঘটনায় নিহতের প্রতিবেশি দুই মামা হত্যাকারী জানেআলম (৩৫) ও তার ভাই মোর্সেদকে (৩৭) আটক করেছে চান্দিনা থানা পুলিশ। তারা একই এলাকার রহমান ড্রাইভারের ছেলে।
স্থানীয় ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার রাতে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় জানে আলম। ওই ঘটনার রেশ ধরে বৃহস্পতিবার ইফতারের পর ফারুক হোসেনকে ছুরিকাঘাত সে। পরে রাত একটায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্সাধীন অবস্থায় মারা যান ফারুক।
নিহতের মা নাছিমা বেগম জানান, সোমবার রাতে বিপুলী বেগম রান্না ঘরে সেহেরি তৈরি করছিলেন। এ সময় জানেআলম তাকে মুখ চেপে ধরে পাশের একটি জমিতে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় বিপুলী বেগমের চিত্কারে ফারুক ও তার ভাই জালালসহ বাড়ির লোকজন বের হলে জানেআলম পালিয়ে যায়। ঘটনার পর ফারুক জানেআলমের বাড়িতে গেলে জানেআলম উল্টো তাকে হত্যার হুমকি দেয়।
তিনি আরো জানান, পরদিন মঙ্গলবার সকালে এলাকার কাউন্সিলরসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা জানেআলমের বাড়িতে গিয়ে তাকে পায়নি। মঙ্গলবার ভোর থেকেই জানেআলম আত্মগোপন করে। বৃহস্পতিবার ইফতারের পর প্রচণ্ড গরমে ফারুক হোসেন বসতঘর সংলগ্ন একটি গাছের নিচে দাঁড়িয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। এ সময় জানেআলম ও তার ভাই মোর্সেদ এসে বিষয়টি কেন এলাকায় জানাজানি হলো বলেই ফারুককে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল সালাম জানান, জানেআলম মাদকাসক্ত ও চরিত্রহীন। ঘটনার পর সে আত্মগোপন করে এবং বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফারুককে হত্যা করার উদ্দেশেই ছুরি নিয়ে বাড়িতে আসে।
এ ব্যাপারে চান্দিনা থানার ওসি মোহাম্মদ আবুল ফয়সল জানান, ধর্ষণের চেষ্টা ও হত্যার অভিযোগে মামলা হয়েছে। মূলহোতা জানেআলম ও তার বড়ভাই মোর্সেদকে আটক করা হয়েছে।