বুড়িচংয়ে এক কিশোরীকে অপহরণের পর ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় লোকজনের হাতে অভিযুক্ত আটক হলেও প্রভাবশালী একটি মহল তাকে ছিনিয়ে নেয়।
এ ঘটনায় ওই কিশোরীর মা বৃহস্পতিবার রাতে বুড়িচং থানায় মামলা করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের একটি গ্রামের ওই কিশোরী ৪ ডিসেম্বর বুধবার বিকেলে তার ছোট ভাইকে নিয়ে বুড়িচং সদর বাজারে মোবাইল ফোন মেরামতের জন্য যায়। বুড়িচং বাজার হাসপাতাল গেট এলাকায় পৌঁছালে উপজেলার পীরযাত্রাপুর ইউনিয়নের সাদকপুর গ্রামের মফিজুল ইসলামের ছেলে সোহেলের নেতৃত্বে ৩ জনের একটি দল কিশোরীকে অপহরণ করে ব্যাটারিচালিত একটি অটোরিকশায় উঠিয়ে নেয়। এ সময় সঙ্গে থাকা ছোট ভাই বাধা দিলে অপহরণকারীরা তাকে ভয়ভীতি দেখায়। অপহরণকারীরা মেয়েটিকে বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে বুড়িচং সদর ইউনিয়নের জগতপুর সীমান্ত এলাকায় একটি মুরগির ফার্মে নিয়ে যায়। পরে সোহেল নামে একজন তাকে ধর্ষণ করে। পরে সোহেলের সঙ্গীরা ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। ডাক-চিৎকারে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে মূল অভিযুক্তকে জাপটে ধরে মেয়েটি। এ সময় স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাকে আটক করে মফিজুল ইসলামের বাড়িতে নিয়ে যায়। ধর্ষণের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে কিশোরীর পরিবার ও সোহেলের পরিবার ওই বাড়িতে যায়। পরে জগতপুর গ্রামের জামাল হোসেন মেম্বারের নেতৃত্বে একদল লোক এসে সোহেলকে ছাড়িয়ে নেয়। রাতে কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়লে পর দিন সকালে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
বুড়িচং থানার ওসি আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, ধর্ষণের ঘটনায় ৩ জনকে আসামি করে একটি মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।