কুমিল্লায় কিশোরীকে অপহরণের পর ৫ দিন আটক রেখে ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক সামিউল বাছিরসহ চার জনকে আটক করেছে পুলিশ। এর আগে ভুক্তভোগী কিশোরী বুড়িচং থানায় চার জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করে।
স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, জেলার বুড়িচং উপজেলার ভারেল্লা দক্ষিণ ইউনিয়নের দক্ষিণ শোভারামপুর নোয়াপাড়া গ্রাম থেকে ওই কিশোরীকে ১২ অক্টোবর সকালে পার্শ্ববর্তী দয়ারামপুর গ্রামের মোখলেছুর রহমানের ছেলে সামিউল বাছির (১৮) ও তার বন্ধু হৃদয়সহ সিএনজি অটোরিকশাযোগে অপহরণ করে। পরে তাকে নিয়ে কুমিল্লার সদর উপজেলার উত্তর দুর্গাপুর ইউনিয়নের আড়াইওরা গ্রামের ভাড়া বাসায় আটকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে।
১৭ অক্টোবর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অভিযুক্ত বাছির কিশোরীকে নিজ গ্রাম দয়ারামপুরে নিয়ে গেলে খবর পেয়ে মেয়ের বাবা, মাসহ পরিবারের লোকজন সেখানে ছুটে যান। বাছিরের পরিবারের কাছে মেয়ের খবর জানতে চাইলে উত্তেজিত হয়ে বাছিরের মা লিপি আক্তার (৩৫) ও আরেক অভিযুক্ত প্রকাশ শিপনসহ অন্যরা কিশোরীকে মারধরসহ মাথার সামনের অংশের চুল কেটে দেয়। লাঞ্ছিত করে তাড়িয়ে দেয় পরিবারের সদস্যদের। এ ঘটনায় রাতেই কিশোরী বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় অভিযুক্ত বাছির, তার বন্ধু আশ্রয়দাতা বরুড়া উপজেলার মুখশিপুর গ্রামের ছিদ্দিক মিয়ার ছেলে বর্তমান আড়াইওরায় ভাড়া থাকা হৃদয় (২৪), দয়ারামপুর গ্রামের মো. রানা (২৮) এবং বাছিরের মা লিপি আক্তারের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করে।
শনিবার (১৭ অক্টোবর) গভীর রাতে বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে মামলার ৪ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। রবিবার (১৮ অক্টোবর) তাদের আদালতে পাঠালে বিজ্ঞ বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেন।