কুমিল্লার বুড়িচংয়ের বাকশিমূলে সনাতন ধর্মাবলম্বী এক কিশোরীকে অপহরণের পর আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) ওই কিশোরীর বাবা একটি মামলা করেছেন। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য লিটনের সহায়তায় ধর্ষককে আটক করেছে পুলিশ।

মামলার বিবরণ ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ ডিসেম্বর বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার বাকশিমুল ইউপি এলাকার বাকশিমুল গ্রামের জনৈক ফারুক মিয়ার বাড়ির সামনের সড়ক থেকে ওই কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করা হয়।

একই উপজেলার আনন্দপুর গ্রামের মৃত ফজলুল হকের ছেলে মনির হোসেন (৩২) অপহরণের পর দীর্ঘ ২০ দিন আনন্দপুর গ্রামে একটি ঘরে আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ ও পাশবিক নির্যাতন চালায়।

হিন্দু হতদরিদ্র বাবা অনেক খোঁজাখুজির পর বুধবার মেয়ের বিষয়ে জানতে পেরে তাৎক্ষণিক থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

তিনি জানান, নিজের কোনো সহায়-সম্বল না থাকায় অন্যের বাড়িতে বসবাস করছেন। এ ঘটনার পর বুধবার জমির মালিক বাড়ি থেকে তাকে তাড়িয়ে দিতে চাইছে। এ অবস্থায় কোথায় গিয়ে উঠবেন কোথায় যাবেন তিনি পরিবার ও মেয়েকে নিয়ে। তাকে তাড়িয়ে না দেয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তা কামনা করছেন অসহায় দরিদ্র ভুক্তভোগী পরিবারটি।

বুড়িচং থানার ওসি মোজাম্মেল হক সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অভিযোগ প্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে এসআই কামরুজ্জামানসহ ফোর্স প্রেরণ করি। স্থানীয় মেম্বর লিটনের সহায়তা তার বাড়ি থেকে ধর্ষক মনিরকে আটক করে ভিকটিমকে উদ্ধার করতে সক্ষম হই।

ভিকটিমের মেডিকেল সম্পন্ন হয়েছে। রিপোর্ট এলে বিস্তারিত বলা যাবে। এ ঘটনায় আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

মানব কণ্ঠ

মন্তব্য করুন