কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় কয়েকজন লোক এক নারীকে তুলে নিয়ে ধান ক্ষেতে ধর্ষণ করেছে। স্থানীয় এক ব্যক্তি জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯- এ ফোন করে পুলিশকে বিষয়টি জানালে ঘটনাস্থল থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় ছয় ধর্ষককে আটক করে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাতে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল রেলওয়ে স্টেশনের পাশে ধান ক্ষেতে একটি মেয়েকে কয়েকজন লোক তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে। ভিকটিমের চিৎকার শুনে দ্রুত পুলিশি সহায়তার অনুরোধ জানিয়ে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন এক ব্যক্তি।
জাতীয় জরুরি সেবার পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে ওই ব্যক্তির সঙ্গে ব্রাহ্মণপাড়া থানার ডিউটি অফিসারের কথা বলিয়ে দেওয়া হয়। তথ্য পেয়ে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া থানা পুলিশের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে অভিযান চালিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার এবং সন্দেহভাজন ছয়জনকে আটক করা হয়। তাদের নাম- লাবু, নাসির আহমেদ, নজরুল ইসলাম, কাওছার, সাদ্দাম ও জমির হোসেন। তারা সবাই স্থানীয় বাসিন্দা।
ধর্ষিতার স্বামীর বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। তিনি বলেন, ‘আমি ও আমার স্ত্রী শনিবার সন্ধ্যায় আখাউড়া থেকে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছিলাম। শশীদল রেল স্টেশনে রাত আটটার সময় পৌঁছে একটি দোকানে চা খাই। চা দোকানের মালিক নাসির মিয়া আমাদের বলেন, এখন রাত অনেক হয়েছে। আপনার শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার জন্য কোনও গাড়ি পাবেন না। আজ রাতে আমার বাড়িতে থেকে সকালে চলে যান। তার বাড়িতে গিয়ে পরিস্থিতি ভালো না দেখে আমরা বের হতে চাইলে সে এবং তার সহযোগীরা আমার ও স্ত্রীর মুখ চেপে ধরে পাশের ধানের জমিতে নিয়ে যায়। আমাকে নাসির ও তার সহযোগী শশীদল গ্রামের মৃত উলফত আলীর ছেলে জমির হোসেন আটকে রেখে মারধর করে। অন্যদিকে আমার স্ত্রীকে ওই এলাকার নসু মিয়ার ছেলে লাবু মিয়া ধর্ষণ করে। ওই গ্রামের মৃত কাশেম মিয়ার ছেলে নজরুল ইসলাম, মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে সাদ্দাম হোসেন আমার স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে।’
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘ওই দম্পতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে সেখানে যান। কিছু দুর্বৃত্ত স্বামীকে আটকে স্ত্রীকে ধর্ষণ করে।’
ব্রাহ্মণপাড়া থানার ওসি আজম উদ্দিন আহমেদ জানান, এ ঘটনায় পুলিশ ছয়জনকে আটক করেছে। ধর্ষকদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।