কুমিল্লা ইপিজেডে কর্মরত এক নারী শ্রমিককে চারজন মিলে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় চারজনের বিরুদ্ধে বুড়িচং থানায় মামলা করা হয়েছে। মামলার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

 

জেলার বুড়িচং থানাধীন দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরির্দশক (এসআই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নন্দন চন্দ্র সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেফতাররা হলেন- বুড়িচং উপজেলার বাগিলরা গ্রামের মৃত আবুল হাশেমের ছেলে মো. খোকন মিয়া (২০) ও চান্দিনা উপজেলার রানীরচর গ্রামের মো. মহসিন মিয়ার ছেলে মো. আনিস (২০)।

মামলার বিবরণে জানা যায়, কমিল্লার লাকসাম উপজেলার নোয়াগাঁও এলাকায় এক নারী শ্রমিক (২০) কুমিল্লা ইপিজেডে কর্মরত ছিলেন। ওই নারীর সঙ্গে কোটবাড়ী এলাকার বিল্লাল হোসেন (১৯) নামে এক যুবকের মোবাইল ফোনে পরিচয় হয়। মোবাইল ফোনে পরিচয়ের সূত্র ধরে সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে তারা কোটবাড়ী এলাকায় দেখা করেন। কোটবাড়ী এলাকায় ঘোরাঘুরি শেষে দুপুর ১২টায় ওই নারীকে নিয়ে বিল্লাল হোসেন বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি রানীর বাংলো এলাকায় আসেন। সেখানে বিল্লালের সঙ্গে আরও তিন যুবক একত্রিত হয়ে ওই নারীকে পাশের একটি ঝোপের মধ্যে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় ওই নারীর চিৎকারে ধর্ষণকারীরা পালিয়ে গেলে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেয়। এ ঘটনায় রাতেই ওই নারী বাদী হয়ে চারজনের নামে বুড়িচং থানায় মামলা করেন।

বুড়িচং থানাধীন দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরির্দশক (এসআই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নন্দন চন্দ্র সরকার বলেন, গ্রেফতার দুজনকে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে আদালতের মাধমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ডের আবেদন করা হবে। অভিযুক্ত অপর দুজনকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

জাগো নিউজ

মন্তব্য করুন