কুড়িগ্রামে ভুরুঙ্গামারীতে ইয়াবাসহ আটক হওয়ার সংবাদ প্রকাশের জেরে উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি, সাংবাদিক আব্দুল জলিল সরকারকে লাঞ্ছিত করেছে মাদক সেবনের দায়ে অভিযুক্ত নিয়ামুল আরিফ চৌধুরী ওরফে নিখিল চৌধুরী। বুধবার (২২ জুলাই) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী।
ভুরুঙ্গমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আতিয়ার রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
হামলার শিকার আব্দুল জলিল সরকার ‘দৈনিক আমাদের সময়’-এর ভূরুঙ্গামারী উপজেলা প্রতিনিধি ও ‘দৈনিক কুড়িগ্রাম খবর’-এর স্টাফ রিপোর্টার। অভিযুক্ত নিয়ামুল আরিফ চৌধুরী ওরফে নিখিল চৌধুরী ভুরুঙ্গামারী বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুন্নবী চৌধুরীর ছোট ভাই বলে জানা গেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৩১ মে কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে নলেয়া গ্রামে ইয়াবাসহ শিক্ষক নিয়ামুল আরিফকে (৪০) হাতেনাতে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় ভুরুঙ্গামারী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলাও হয় এবং পুলিশ তাকে কুড়িগ্রাম জেলহাজতে প্রেরণ করে । উক্ত ঘটনার সংবাদটি আব্দুল জলিল সরকার প্রকাশ করায় নিখিল চৌধুরী ক্ষিপ্ত হন। জামিনে মুক্ত হওয়ার পর থেকে সুযোগ খুঁজতে থাকেন তিনি।বুধবার দুপুর ২টায় নিখিল তার দলবলসহ আব্দুল জলিলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জনতা হোমিও হলে ঢুকে প্রকাশিত ওই সংবাদের জন্য গালিগালাজ করতে থাকে। একপর্যায়ে নিখিল শার্টের কলার ধরে মারতে মারতে আব্দুল জলিলকে পাকা রাস্তার ওপর ফেলে দেয়। এ সময় নিখিল চৌধুরী সাংবাদিক জলিল সরকারের দোকান থেকে টাকাও ছিনতাই করে নিয়ে যায় বলে জানা গেছে।
ভূরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আতিয়ার রহমান জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আব্দুল জলিল সরকার বাদী হয়ে মামলা করেছেন। নিখিল চৌধুরীর বিরুদ্ধে মাদকেরও মামলা রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।