কুড়িগ্রামে স্ত্রীর সহায়তায় চার বছর ধরে বন্ধুর স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণ করে আসছিল মকবুল হোসেন প্রধান নামের এক ব্যক্তি। সেই মকবুলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

১৭ জুনসোমবার দুপুরে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (ভুরুঙ্গামারী সার্কেল) শওকত আলীর নেতৃত্বে পুলিশ সাবরেজিস্ট্রার অফিসের সামনে থেকে মকবুলকে গ্রেপ্তার করে। মকবুল হোসেন প্রধানের বাড়ি ভুরুঙ্গামারী উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের পূর্ব কেদার গ্রামে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রীকে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ার সময় তার বাবার বন্ধু মকবুল হোসেন প্রধান তার শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে নিয়ে গিয়ে প্রথম ধর্ষণ করে। মেয়েটি এখন অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। এরপর অসংখ্যবার মেয়েটিকে ধর্ষণ করে মকবুল। স্ত্রীর সহায়তায় ধর্ষণ শুরু হলেও শেষে বাধ্য হয়ে স্ত্রীই বিষয়টি জনসম্মুখে নিয়ে আসেন। গত বুধবার সকালে মিলনরত অবস্থায় তাদের দেখে ঘটনা জনসম্মুখে নিয়ে আসেন মকবুলের স্ত্রী।

এদিকে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে উঠেপড়ে লাগে একটি মহল। শেষে সোমবার ওই স্কুলছাত্রী ভুরুঙ্গামারীর কচাকাটা থানায় মামলা করে। মামলার ভিত্তিতে মকবুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

নির্যাতিত মেয়েটি জানায়, বাবার বন্ধু হওয়ায় মকবুল তাদের বাড়িতে যাতায়াত করত। তাদের পরিবারও মকবুলের বাড়িতে যাতায়াত করত। দুই পরিবারের মধ্যে সখ্য রয়েছে। সে যখন পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে তখন মকবুল ও তার স্ত্রী মুক্তা বেগম তাকে নিয়ে নাগেশ্বরী উপজেলার সাপখাওয়া গ্রামে মুক্তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে যায়। সেখানে একটি ঘরে মকবুল ও তাকে রেখে মুক্তা ঘরের বাইরে থেকে দরজা আটকে চলে যান। সেখানে তাকে ধর্ষণ করে মকবুল। পরে মেয়েটি কান্নাকাটি করলে তাকে বিয়ের প্রলোভন দেয়। একপর্যায়ে কুড়িগ্রাম সদরে নিয়ে লোক দেখানো বিয়ে করে। তারপর থেকে প্রায়ই ডেকে ধর্ষণ করত মকবুল। গত বুধবার সকালে তার বাড়ির মুঠোফোনে ফোন দিয়ে পাশের বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে মকবুল। এ সময় মকবুলের স্ত্রী মুক্তা বেগম এসে তাদের দেখে ফেলে এবং তাকে মারধর করে। পরে লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে।

এন টিভি অনলাইন

মন্তব্য করুন