প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় কুয়াকাটার একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে এক তরুণীকে (১৮) ধর্ষণের অভিযোগে মহিপুর থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ ওই ঘটনায় হোটেল মালিক দেলোয়ার হোসেনের ছেলে শামিমকে গ্রেফতার করেছে।

 

১৩ ডিসেম্বর রোববার নির্যাতনের শিকার তরুণী বাদী হয়ে প্রেমিক কলাপাড়ার মহিপুরের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে আল আমিন (২০) ও তার সহযোগী শামিমকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।

মহিপুর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান জানান, কলাপাড়া পৌর শহরের রহমতপুর এলাকার ওই তরুণীর সঙ্গে সাত মাস ধরে মোবাইলে প্রেম চলছিল মহিপুরের আল আমিনের। প্রেমের সূত্র ধরে শনিবার বিকালে কুয়াকাটার আবাসিক হোটেল সোনার বাংলার ১০৪নং কক্ষে ওই তরুণীকে নিয়ে যায় আল আমিন। সেখানে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক মেলামেশা করে সে।

তিনি জানান, পরবর্তীতে বিষয়টি উভয়ের পরিবার জেনে গেলে হোটেলে বসে অভিভাবকদের উপস্থিতিতে ওই তরুণীকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে আল আমিন। এর আগেও ওই হোটেলে নিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক মেলামেশা করে।

ওসি জানান, এ ঘটনায় ওই তরুণী থানায় মামলা দায়ের করলে শামিমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে রোববার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে ও ওই তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী পাঠানো হয়েছে। মূল অভিযুক্ত আল আমিন ঘটনার পরই পালিয়ে গেছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে পুলিশ কর্মকর্তা জানান।

যুগান্তর

মন্তব্য করুন