কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা সদরে এক ‘অন্তঃসত্ত্বা’ গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে দুই যুবকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
২১ মার্চ রোববার এই ঘটনা ঘটে বলে ওই গৃহবধূর বাবার দায়ের করা মামলায় অভিযোগ করা হয়।
ব্রাহ্মণপাড়া থানায় করা মামলার আসামিরা হলেন দেবিদ্বার উপজেলার সাইচাপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে খন্দকার ফারুক (৩২) এবং একই এলাকার ফরিদ মিয়ার ছেলে অটোরিকশা চালক মো. সোহাগ (২৮)।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আনোয়ার হোসেন মামলার বরাত দিয়ে জানান, ‘অন্তঃসত্ত্বা’ এই গৃহবধূর দুই বছরের একটি ছেলে রয়েছে। খন্দকার ফারুক মোবাইল ফোনে এই গৃহবধূর সঙ্গে প্রায় সময়ই কথা বলতেন।
“গত ২১ মার্চ এই গৃহবধূকে ফুসলিয়ে সোহাগের অটোরিকশায় করে সোহাগেরই ব্রাহ্মণপাড়ার ভাড়া বাসায় নিয়ে যান ফারুক। সোহাগ তাদের সেখানে রেখে অটোরিকশা নিয়ে চলে যান।
“সেখানে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে ফারুক তাকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরদিন সোহাগ এই গৃহবধূকে তাদের বাড়ি পৌছে দেন।”
পরিবারের লোকজন বিষয়টি অবগত হওয়ার পর দেবিদ্ধার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
২৩ মার্চ মঙ্গলবার গৃহবধূর বাবা বাদী হয়ে ফারুক ও সোহাগের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণপাড়া থানায় ধর্ষণ মামলা করেন বলে এসআই আনোয়ার জানান।
এসআই আনোয়ার হোসেন জানান, মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে কুমিল্লায় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
ব্রাহ্মণপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জাকির হোসেন জানান, ফারুক ওই গৃহবধূর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলে ফুসলিয়ে নিয়ে আসেন এবং তারা দুইজনে ধর্ষণ করেছে অভিযোগ করে মেয়েটির বাবা মঙ্গলবার রাতে মামলা দায়ের করেছেন। তবে আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।