ঢাকার কেরানীগঞ্জে সাংবাদিকতার পাশাপাশি ইন্টারনেট ব্যবসা করার কারণে মাসুদ রানা নামে এক সাংবাদিকের ওপর হামলা করেছে স্থানীয় বাস্তা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক নেতা দুই সহোদর মো. বাদল ও মো. বাবুল।
৩ জুলাই শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার শুভাঢ্যা ইউনিয়ন ১ নম্বর ওয়ার্ডে বিলকাঠুরিয়া (কুয়েতি প্রজেক্ট) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় মাসুদ রানাসহ আরো তিনজন আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন সোহাগ (৩০), নূর মোহাম্মদ (৪০), লাইলি বেগম (৫০)। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। মাসুদ রানা (দৈনিক বাংলাদেশের আলো) কেরানীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি। এ ঘটনায় গতকাল রবিবার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মো. মাসুদ রানা (দৈনিক বাংলাদেশের আলো) দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। জানা যায়, মাসুদ রানা সাংবাদিকতার পাশাপাশি ইন্টারনেট ব্যবসা করেন। তার পার্টনার স্থানীয় মো. সোহাগের সঙ্গে নিজ এলাকার মানুষের কষ্ট লাগব করতে ইন্টারনেট সংযোগের লাইন দিতে গেলে অন্য ইউনিয়নের বিএনপি নেতা বাদল তার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর থেকে ইন্টারনেট সংযোগ না দেওয়ার জন্য প্রথমে হুমকি দেয়।
এর কিছুক্ষণ পর বেশ কয়েকজন লোক এসে চারিগ্রাম স্কুলের সামনে প্রথমে সোহাগকে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। পরে সাংবাদিককে বাসা থেকে ডেকে নেয়। সাংবাদিক বাসা থেকে বের হলে তার ওপর হামলা চালায়। তারা হত্যার উদ্দেশ্যে বাঁশ দিয়ে আঘাত করলে পেছন থেকে মাসুদ রানার মা ও মামা এসে বাঁশ ধরে ফেলেন। পরে সাংবাদিক মাসুদকে মারধর করতে থাকে নজরুল ও সোবাহান।
এ সময় তাদের চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন ছুটে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। মাসুদ রানার ইন্টারনেট সংযোগে ব্যবহৃত কাজে আনা বেশ কিছু ফাইবার তার ও একটি ওএলটি মেশিন নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য ১ লাখ টাকা।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ বলেন, সাংবাদিক মাসুদ রানা হামলার ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।