গলাচিপায় ইনজেকশন দিতে গিয়ে পল্লী চিকিৎকের বিরুদ্ধে এক নারীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গলাচিপার হরিদেবপুর খেয়াঘাটের বটতলায় স্থানীয় পল্লী চিকিৎক আব্দুর রব মৃধাকে আটক করেছে পুলিশ।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ ২৪ এপ্রিল শনিবার রাতেই পল্লী চিকিৎসককে অভিযুক্ত করে গলাচিপা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত পল্লী চিকিৎক আব্দুর রবকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গলাচিপা থানার ওসি (তদন্ত) মো. আতিকুল ইসলাম।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গলাচিপা উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের হরিদেবপুর খেয়াঘাটের বটতলা এলাকার বাজারে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক আব্দুর রব মৃধার ‘নুপুর ফার্মেসি’তে যান ওই গৃহবধূ। শনিবার সন্ধ্যায় জন্ম বিরতিকরণ ইনজেকশন দিতে গেলে ওই গৃহবধূর স্বামীকে ফার্মেসির সামনে রেখে গৃহবধূকে চেম্বারের পেছনে নিয়ে যান। সেখানে টিকা দিতে গিয়ে পল্লী চিকিৎসক রব মৃধা গৃহবধূকে বোরকা খুলতে বলেন। ওই গৃহবধূ বোরকা খুলতে রাজি হয়নি। এ সময় তিনি জোরপূর্বক বোরকা খুলতে চেষ্টা করে। একই সঙ্গে ওই পল্লী চিকিৎসক গৃহবধূর শরীরে হাত দিয়ে যৌন নির্যাতন করেন।
একপর্যায় গৃহবধূ চিৎকার দিলে চেম্বারের সামনে বসা তার স্বামীসহ লোকজন চেম্বারের পেছনের কক্ষে ঢুকলে অভিযুক্ত পল্লী চিকিৎসক চেম্বার থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
গলাচিপা উপজেলা পল্লী চিকিৎসক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, আব্দুর রব মৃধা আমাদের সমিতির সদস্য নয়। এ ধরনের ঘটনার আমরা নিন্দা জানাই।
গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমআর শওকত আনোয়ার ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনায় নিপীড়নের শিকার গৃহবধূ বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। শনিবার রাতেই অভিযুক্ত পল্লী চিকিৎসক আব্দুর রব মৃধাকে গ্রেপ্তার করে রবিবার সকালে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।