গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় নিজ শাশুড়ি ও শ্যালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় জামাতা রুহুল আমিনকে (২৬) গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৩। সোমবার (২৬ জুলাই ) বিকেলে পৃথক দুটি মামলায় তাকে থানা পুলিশে সোর্পদ করলে পুলিশ গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেয়। আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
রুহুল আমিন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার তালুককানুপুর ইউনিয়নের সমসপাড়া গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে। গত রোববার রাতে অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলার কাটাখালি বালুয়া বাজারের মুক্তিযোদ্ধা ময়েজউদ্দিন সুপার মার্কেট থেকে তাকে আটক করে র্যাব। তার কাছ থেকে অশ্লীল ভিডিও ও স্থিরচিত্রসহ মোবাইলফোন জব্দ করা হয়।
২৬ জুলাই সোমবার নির্যাতিতা মা মেয়ে বাদী হয়ে রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পৃথক দুটি মামলা করে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, রুহুল আমিন তার শাশুড়ির আপত্তিকর ছবি মোবাইলে ধারন করে। পরে সেগুলো ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এছাড়াও গাইবান্ধা শহরের পলাশপাড়ায় নিজ শ্যালিকার বাড়িতে গিয়ে ২০২০ সালে তাকে ধর্ষণের চেষ্টার ভিডিও করে। পরে ওই শ্যালিকাকে কৌশলে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সমসপাড়ায় তার ফুফাতো বোনের বাড়িতে ডেকে এনে ফেসবুকে সেই ভিডিও ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে র্যাব গত রবিবার রুহুল আমিনকে গ্রেফতার করে এবং মোবাইলে জব্দ করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আরিফুল ইসলাম বলেন, আসামি রুহুল আমিনকে পৃথক দুই মামলায় আদালতে হাজিরের পর ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে বিজ্ঞ বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।