গাজীপুরের কালীগঞ্জে নানা প্রলোভনে ১১ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণ করেছে পঞ্চাশোর্ধ দুই ব্যক্তি। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী এখন ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। ভিকটিমের বড় ভাইয়ের মামলার প্রেক্ষিতে ওই দুই ধর্ষককে ২২ মার্চ রোববার দুপুরে গাজীপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

 

আটককৃতরা হলেন উপজেলার তুমলিয়া ইউনিয়নের মধ্য চুয়ারিয়াখোলা গ্রামের মৃত পেরী মহন দাসের ছেলে শান্তি রঞ্জন মহন দাস (৫৬) ও পুইন্যারটেক গ্রামের মৃত নরেন্দ্র মন্ডলের ছেলে তপন মন্ডল (৫৫)। থানা পুলিশের কাছে প্রাথমিকভাবে তারা ধর্ষণের কথাটি স্বীকার করেছে।

ভিকটিমের পরিবার ও থানা সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষক শান্তি রঞ্জন ধর্ষিতা ওই কিশোরী সম্পর্কে চাচাত ভাই। আর তপন মন্ডল ওই কিশোরীকে গান শিখাতো।

গত কয়েকদিন আগে কিশোরীর চাচাতো ভাই শান্তি রঞ্জন তাকে পানি এনে দেওয়ার কথা বলে ঘরে নিয়ে মুখ চেপে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং তার হাতে ৫০টি টাকা দিয়ে এ ঘটনা কাউকে জানালে মেরে ফেলার তাকে হুমকি দেন।

অন্যদিকে গানের শিক্ষক তপন মন্ডল তাকে বাড়ীর পাশের পুকুর পাড়ের নির্জনস্থানে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ ঘটনার কিছু দিন পর ওই কিশোরীর শারীরিক পরিবর্তন দেখে পরিবারের লোকজন তাকে জিজ্ঞাসা করলে ঘটনা খুলে বলে। পরে এ ঘটনায় ওই দুইজনকে আসামী করে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে ভিকটিমের বড় ভাই।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মিজানুল হক জানান, এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে।

পাশাপাশি মামলার দুই আসামীকে গাজীপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং ওই কিশোরীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আজকের পত্রিকা

মন্তব্য করুন