গাজীপুর মহানগরীর পূবাইল মেট্রোপলিটন থানায় হবু বরকে বেঁধে রেখে এক তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। পরে বেতনের টাকা তুলে দেয়ার শর্তে তাকে ছেড়ে দেয় বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী।
পূবাইল মেট্রোপলিটন থানার ৪১নং ওয়ার্ডের নয়ানীপাড়ার ফজলুল মিয়ার ছেলে মিলন মিয়া (৩০), লাল মিয়ার ছেলে ইউসুফ (২৫) ও কবির মিয়ার ছেলে শের-এ আলীর (২৫) বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে ২৪ জুন বৃহস্পতিবার রাতে পূবাইল মেট্রোপলিটন থানায় ওই তরুণী তিনজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। শুক্রবার বিকালে ইউসুফ ও শের-এ আলীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মামলা ও ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গত ৪ জুন কারখানা ছুটি দিলে সন্ধ্যায় হবু বরের সঙ্গে বাসায় ফেরার সময় ওই তিন আসামি তাদের পথরোধ করে। এ সময় ইউসুফ ও শের-এ আলী হবু বরকে মারপিট করে বেঁধে রাখে আর ওই তরুণীকে বাঁশঝাড়ে নিয়ে ধর্ষণ করে মিলন।
এ সময় দুই বন্ধু মোবাইলে ভিডিও ফুটেজ ধারণ করে। পরে বেতন পেলে ১০ হাজার টাকা দেয়ার শর্তে তাদের ছেড়ে দেয়। টাকা না দিলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও ফুটেজ ছেড়ে দেবে বলে হুমকি দেয়।
কথামতো বেতন হলে ১৪ জুন বিকালে তরুণীর বাড়ির মালিককে অভিযুক্তরা ভিডিও ফুটেজ ও ছবি দেখিয়ে টাকা ১০ হাজার দাবি করে। উপায়ন্তর না দেখে বাড়ির মালিক ও প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় পুলিশের শরণাপন্ন হন তারা।
এ বিষয়ে পূবাইল থানার ওসি মহিদুল ইসলাম জানান, যাচাই-বাছাই করে বৃহস্পতিবার রাতে মামলাটি রেকর্ড করা হয়। আসামি দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ভিকটিমকে গাজীপুর তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শুক্রবার পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।