গাজীপুরে বাড়িওয়ালার যোগসাযোশে এক কিশোরীকে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ১৩ সেপ্টেম্বর রোববার নগরের পূবাইল থানাধীন মাজুখান এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন, টঙ্গীর পূর্ব থানার ফকির মার্কেট এলাকার শান্ত ললিতকলা একাডেমির মালিক আব্দুল আলিমের ছেলে আবু হানিফ (৪৬) এবং মাদারীপুর জেলার কালকিনি থানার হেনায়েত নগর গ্রামের ইস্কান্দার আলী সরদারের ছেলে ও টঙ্গীর এক ইলেক্টট্রনিক্সের দোকানের কর্মচারী মো. শাহ আলম (৩৭)।
পূবাইল থানার ওসি নাজমুল হক ভূইয়া জানান, দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় গত ১২ সেপ্টেম্বর ঘটনার শিকার ১৫ বছর বয়সী ওই কিশোরী বাদী হয়ে পাঁচ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
“দুইজনকে গ্রেপ্তার করে গাজীপুর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্যদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”
কিশোরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ওই কিশোরীকে উদ্ধৃত করে পূবাইল থানার এসআই জামিল উদ্দিন রাশেদ জানান, ময়মনসিংহ থেকে আসা ওই কিশোরী মাজুখানে সেলিনা বেগমের বাসায় ভাড়া থেকে একটি কাপড় সেলাইয়ের দোকানে কাজ করেন।
গত ১১ সেপ্টেম্বর রাত ১১টার দিকে ওই বাসার মালিক সেলিনা কৌশলে কিশোরীটিকে ওই বাড়ির এক কক্ষে নিয়ে গিয়ে বাইরে থেকে দরজা আটকে দেন। কক্ষে আগে থেকে আবু হানিফ এবং শাহ আলম অবস্থান করছিলেন। তারা ওই কিশোরীর মোবাইল ফোনটি আছাড় মেড়ে ভেঙে ফেলে। নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেন তারা। পরে তারা ঘর থেকে বের হওয়া মাত্রই আরও দুইজন ঘরে ঢুকে ভয়ভীতি দেখিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করে বলে জানান তিনি।