গাজীপুরে মোবাইলে কল করে ডেকে নিয়ে এক কলেজ শিক্ষার্থীকে (১৮) গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।

 

বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের শিমুলতলী স্কুল গেট সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ওই রাতেই গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি’র) সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ওই কলেজ ছাত্রী। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি’র) সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর ভূইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলো, গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের জৈনা বাজার এলাকার মাসুদ রানা (২৫) ও ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানার গলগন্ডা গ্রামের আনন্দ (২২)। তারা দুজনই গাজীপুর সিটি করপোরেশনের চতর এলাকায় বসবাস করেন।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি’র) সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর ভূইয়া জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কলেজ ছাত্রীর মুঠোফোনে কল দিয়ে জরুরি কথা আছে বলে শিমুলতলী বটতলা এলাকায় ওই শিক্ষার্থীকে দেখা করতে বলে নাঈম নামে এক সহপাঠী। কল পেয়ে ওই কলেজছাত্রী অটোরিকশায় শিমুলতলী বটতলায় যান। সেখানে আগে থেকেই নাঈম ও তার দুই সহযোগী আনন্দ ও মাসুদ রানা উপস্থিত ছিল। মেয়েটি ওইখানে পৌঁছানোর কিছুক্ষণ পর আনন্দ ও মাসুদ রানা সেখান থেকে চলে যায়। তারা দুজন চলে যাওয়ার পর পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী নাঈম ওই কলেজ ছাত্রীকে একটি অটোরিকশায় করে শিমুলতলী স্কুল গেইট সংলগ্ন এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে পৌঁছানোর পর ওই কলেজ ছাত্রীর বিষয়টি সন্দেহ হলে সে কৌশলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।

এসময় দুই সহযোগীকে নিয়ে ওই কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় নাঈম। চিৎকার শুনে তাকে উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। কলেজ ছাত্রী বর্তমানে ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে আনন্দ ও মাসুদ রানাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই মামলার প্রধান আসামি নাঈম পলাতক আছে। তাকে গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।

ঢাকা ট্রিবিউন

মন্তব্য করুন