গাজীপুরে মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলার আসামিকে গ্রেফতার করেছে গাজীপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

 

ধর্ষকের নাম মো. সোলায়মান আলী (২২)। তিনি নীলফামারীর ডিমলা থানার পূর্ব খড়িবাড়ি গ্রামের অধিবাসী। বৃহস্পতিবার ওই এলাকায় তাকে শ্বশুরবাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।

৪ সেপ্টেম্বর শনিবার পিবিআইয়ের এসআই মোশারফ হোসেন বলেন, গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার মধ্যপানজোরা এলাকা থেকে গত বছর ২৩ জুন সকালে মানসিক ভারসাম্যহীন নারী তাহমিনা (২৫) নিখোঁজ হন। পরে ২৫ জুন নগরভেলা এলাকায় সাহুরঘাট নামক স্থানে বালু নদী থেকে অজ্ঞাতনামা হিসেবে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে নিহতের বোন জাহানারা ওই দিন তার বোন তাহমিনার লাশ শনাক্ত করেন।

এ ঘটনায় ওই মানসিক ভারসাম্যহীন নারী পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করে কালীগঞ্জ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়। পরে অপমৃত্যু মামলা তদন্তকালে নিহতের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে পুলিশ জানতে পারে ওই মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের পর পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পরে এ ঘটনায় কালীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করা হয়।

মামলাটি পিবিআই তদন্ত করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে মো. সোলায়মান আলীকে বৃহস্পতিবার নীলফামারী থেকে গ্রেফতার করে। তাকে শুক্রবার গাজীপুর আদালতে পাঠানো হলে সে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।

আসামির বরাত দিয়ে ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, আসামি মো. সোলায়মান এবং তার সহযোগী আসামিরা উলুখোলা কেটুন ইউনিলিভার ফ্যাক্টরিতে সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে চাকরি করত। ওই নারী সেখানে চাকরির জন্য যায়। আসামিরা তাকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ফ্যাক্টরির পার্শ্ববর্তী তাদের মেসে নিয়ে যায় এবং গ্রেফতারকৃত আসামি সোলায়মান আলীসহ তার সহযোগীরা ওই নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

পরবর্তীতে ভিকটিমকে বাসায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে সিএনজি ভাড়া করে উলুখোলা ব্রিজে নিয়ে যায়। সেখানে আসামিরা ভিকটিমকে উচু করে ধরে ব্রিজের রেলিংয়ের উপর দিয়ে বালু নদীর পানিতে নিক্ষেপ করে হত্যা করে। মামলার অন্য আসামিদের চিহ্নিতকরণসহ গ্রেফতারে পুলিশ কাজ করছে বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।

যুগান্তর

মন্তব্য করুন