গাজীপুর সদর উপজেলায় একটি স্কুল অ্যান্ড কলেজের এমডি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সহকারী শিক্ষিকাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে তার ভিডিও ধারণ করার অভিযোগ উঠেছে। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে প্রতিষ্ঠানের এমডি ও প্রধান শিক্ষক সাদেকুল ইসলাম সেলিম।

এ ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে জয়দেবপুর থানায় ১ অক্টোবর একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। তবে বিষয়টি পরে জানা গেছে।

মামলার একমাত্র আসামি হলেন ময়মনসিংহের ভালুকা থানার ডাকাতিয়া গ্রামের শামছুল হকের ছেলে সাদেকুল ইসলাম সেলিম (৪০)। তিনি সদর উপজেলার ভাওয়াল মির্জাপুর ইউনিয়নের সৃজনশীল স্কুল অ্যান্ড কলেজের এমডি ও প্রধান শিক্ষক।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৬ মাস যাবত ভিকটিম ওই স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত আছেন। প্রধান শিক্ষকের অফিস এবং ভিকটিমের কর্মস্থল একই রুম হওয়ার সুবাদে প্রায় সময়ই উত্ত্যক্ত এবং কুপ্রস্তাব দিতেন। প্রধান শিক্ষকের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত ২৭ জুন বিকাল ৩টার দিকে শিক্ষকরা স্কুল থেকে চলে যাওয়ার পর অফিস কক্ষের দরজা বন্ধ করে জোরপূর্বক ধর্ষণ ও গোপনে ভিডিও ধারণ করেন। পরবর্তীতে ধর্ষণের ভিডিও ইটারনেটে ভাইরাল করে দেওয়ার ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই শিক্ষিকাকে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে।

জয়দেবপুর থানার ওসি মাহাতাব উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে। আসামি বর্তমানে পলাতক রয়েছে। তাকে ধরার জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

যুগান্তর

মন্তব্য করুন