গাজীপুরে তিনটি মন্দিরে হামলা চালিয়ে প্রতিমা ভাঙচুরের পর ২০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (অপরাধ) মো. জাকির হাসান জানান, শহরের কাশিমপুর বাজার এলাকায় ১৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকালে তিনটি মন্দিরে হামলা চালিয়ে প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়।

 

“এর মধ্যে একটি মন্দিরের সবগুলো প্রতিমা ভেঙে ফেলা হয়েছে। অন্য দুটি মন্দিরের আংশিক প্রতিমা ভাঙচুর করেছে।”

স্থানীয়দের ভাষ্য, ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও তারা সামাল দিতে পারেনি। ‘শতাধিক হামলাকারী’ লাঠি-সোঁটা নিয়ে মন্দিরে হামলা চালিয়ে প্রতিমা ভাঙচুর করে।
কাশিমপুর বাজারের পালপাড়া শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও কাশিমপুর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বাবুল রুদ্র বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার পর পূজারিরা যখন মন্দিরে পূজা করছিলেন, হঠাৎ ‘কয়েকশ লোক’ লাঠি নিয়ে হামলা চালায় এবং লক্ষ্মী ও অসুরের প্রতিমা ভাঙচুর করে চলে যায়। এতে এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।

এর আগে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ‘তিন শতাধিক ব্যক্তি’ কাশিমপুর পশ্চিমপাড়া এলাকার ব্যবসায়ী সুবল দাসের পারিবারিক মন্দিরে এবং স্থানীয় পালপাড়া নামাবাজার সার্বজনীন মন্দিরে হামলা চালায় বলে পুলিশের উপ-কমিশনার জাকির হাসান জানান।
তিনি বলেন, “এ সময় হামলাকারীরা মন্দিরে থাকা সকল প্রতিমা ভাঙচুর করে উল্টে ফেলে দেয়। সে সময় ২০ হামলকারীকে ধরে স্থানীয়রা পুলিশে হস্তান্তর করা হয়।”

এ ঘটনার প্রতিবাদে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্থানীয় ও জেলার হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ করে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায়।

জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম বলেন, বুধবার রাতে মন্দিরের নিরাপত্তা ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের পাশাপাশি আনসার সদস্য মোতায়েনের জন্য তারা চিঠি দিয়েছেন।
“ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানতে পেরেছি, আনুমানিক ৪ থেকে ৫শ লোক মন্দিরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। ইতোমধ্যে পুলিশ ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।“

কোনাবাড়ি জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. বেলাল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় জড়িতদের ধরতে অভিযান অব্যহত আছে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

মন্তব্য করুন