চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানা এলাকায় এক শিক্ষার্থীর ছবি এডিটের পর অশ্লীল বানিয়ে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগে জাহাঙ্গীর আলম নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
থানা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী (১৪) স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ে। তার বাবা ফল ব্যবসায়ী ও মা গার্মেন্টস কর্মী। জাহাঙ্গীর প্রায়ই ভুক্তভোগীকে বিরক্ত করতো, কথা বলতে চাইতো। কিন্তু ভুক্তভোগী তাকে গুরুত্ব দিতো না। একদিন কেউ না থাকার সুযোগে জাহাঙ্গীর বাসায় চলে আসে। এ সময় শিশুটি চিৎকারের চেষ্টা করলে জাহাঙ্গীর তাকে কিছু নগ্ন ছবি দেখায়। মূলত ভুক্তভোগীর ছবি এডিট করে জাহাঙ্গীরই ওই সব ছবি বানায়। এসব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনার পর লোকলজ্জার ভয়ে ঘটনা কাউকেই বলেনি ভুক্তভোগী।
এছাড়াও জানা গেছে, ধর্ষণের কিছুদিন পর আবারও জাহাঙ্গীর আসে। কিন্তু তাকে দরজায় আসতে দেখেই ভুক্তভোগী মরিচের গুঁড়ো নিয়ে তার মুখে মেরে দেয় এবং সেদিনের মতো নিজেকে রক্ষা করে। এরপর জাহাঙ্গীর আরও একবার আসে। ভুক্তভোগী একই কায়দায় মরিচের গুঁড়ো মেরে আত্মরক্ষা করে। মরিচ গুঁড়োর ভয়ে কাছে ঘেঁষতে না পারায় জাহাঙ্গীর অন্যভাবে শিশুটিকে ঘায়েল করার চেষ্টা করে। শেষে মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) শিশুটি ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে অভিযোগ জানালে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে জাহাঙ্গীরকে। আটক জাহাঙ্গীর কুমিল্লা জেলার চান্দিনা থানার মহনপুর গ্রামের মো. ওয়াহিদের ছেলে।
ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, আটক জাহাঙ্গীর শিক্ষার্থীর ছবি এডিটের মাধ্যমে ভয় দেখিয়ে একবার ধর্ষণ করে। আজ মঙ্গলবার ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে অভিযোগ জানালে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদি হয়ে জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন।