চুয়াডাঙ্গায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে এক চিহ্নিত মাদক কারবারি নিহত হয়েছেন।
সদর উপজেলার উকতো গ্রামে ১৩ এপ্রিল শনিবার প্রথম প্রহরে এই ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত রুহুল আমীন (৪৮) চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার শান্তিপাড়ার মৃত মফিজ উদ্দীনের ছেলে। তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে ১৬টি মামলা রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি আবু জিহাদ ফখরুল আলম খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মাদক পাচারের খবর পেয়ে উকতো গ্রামে ওঁৎ পেতে ছিল পুলিশের একটি টহল দল।
“রাত ২টার দিকে ৭/৮ জনের মাদক ব্যবসায়ীর একটি দলকে মাথায় করে বস্তাভর্তি মাদক বহন করতে দেখা যায়। এসময় তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করা হলে তারা পুলিশের উপর অতর্কিত গুলি চালায়।
“১৫ মিনিট গুলি বিনিময়ের এক পর্যায়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পিছু হটে। তখন স্থানীয় জনগণের সহযোগিতায় ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার হয় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী রুহুল আমীনকে।”
রুহুলকে পুলিশ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
‘বন্দুকযুদ্ধে’ পুলিশের দুই এসআইসহ তিনজন আহত হন বলে দাবি করেন ওসি আবু জিহাদ।
ঘটনাস্থল থেকে একটি বন্দুক, কয়েক রাউন্ড গুলি ও এক বস্তা ফেন্সিডিল উদ্ধারে কথাও জানান তিনি।
চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান বলেন, “নিহত রুহুল জেলা পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী। তার নামে জেলার বিভিন্ন থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৬টি মামলা রয়েছে।”