নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গতকাল রোববার র‍্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ যুবক নিহতের ঘটনায় তিনটি মামলা করেছে র‍্যাব। র‍্যাবের দাবি নিহত যুবক ডাকাত দলের সদস্য। এখনো ওই যুবকের পরিচয় শনাক্ত হয়নি।

 

১ নভেম্বর সোমবার সকালে র‌্যাব-১ এর উপ-সহকারী পরিচালক জুলহাস মিয়া বাদি হয়ে ৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে রূপগঞ্জ থানায় মামলাগুলো করেন।

গতকাল ভোরে উপজেলার কালনি এলাকা থেকে র‌্যাব-১ এর সদস্যরা ওই লাশ উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায় রূপগঞ্জ থানা পুলিশ।

র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক আব্দুল্লাহ আল মোমেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘একটি ডাকাত দল ডাকাতির প্রস্ততি নিচ্ছে। ওইসময় র‌্যাবের টহল গাড়ির উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে থাকে। হঠাৎ গুলিতে র‌্যাবের সদস্যরা নিজেদের রক্ষা করতে গিয়ে দুই জন আহত হয়। তখন র‌্যাবও আত্মরক্ষার্থে পাল্টাগুলি ছোড়ে। এক পর্যায়ে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে ডাকাতরা এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পরে থাকতে দেখা যায়। তাকে র‌্যাব সদস্যরা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় র‌্যাবের সদস্য বাদি হয়ে মামলা করেছেন।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘র‌্যাবের সদস্য বাদি হয়ে ৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেছেন। এর মধ্যে একটি মাদকের, একটি অস্ত্র উদ্ধার ও একটি ডাকাত এবং নিহতের ঘটনায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘নিহত যুবকের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। ময়নাতদন্তের পর বেওয়ারিশ হিসেবেই ওই যুবককে কালনী মুক্তিযোদ্ধা কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে বিস্তারিত জানানো যাবে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।’

রূপগঞ্জ থানাধীন ভোলাব তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক ফজলুল হক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ভোর ৫টায় কালনি এলাকা থেকে আনুমানিক ৩০ থেকে ৩২ বছর বয়সী অজ্ঞাত পরিচয় এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়। তার পরনে ছিল কালো টি-শার্ট ও বাদামী রঙের প্যান্ট। তার শরীরের সামনে ৩টি ও পিছনে ৪টি গুলির চিহ্ন রয়েছে। শরীরে আর কোনো আঘাতের চিহ্ন আছে কিনা এবং মৃত্যুর সঠিক কারণ ময়নাতদন্তের পরই বলা যাবে।’

দ্য ডেইলি স্টার

মন্তব্য করুন