জয়পুরহাট সদর উপজেলার চকশ্যাম গ্রাম থেকে ইরাম হোসেন নামে (৫) নামে এক শিশুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করার ছয় ঘণ্টার মধ্যে হত্যার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় শিশুটির প্রতিবেশী বাবা-ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতাররা হলেন- একই এলাকার প্রতিবেশী ট্রাকচালক রেজাউল ইসলাম (৪৫) ও তার ছেলে রাজু আহম্মেদ (১২)।
নিহত ইরাম জয়পুরহাট পৌরসভার কর্মচারী ও চকশ্যাম গ্রামের এনামুল হোসেনের ছেলে।

জয়পুরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার (৩০ জানয়ারি) বিকেলে রাজু শিশু ইরামকে গান শোনার কথা বলে ফাঁকা বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে বলাৎকারের চেষ্টা করে। এ সময় শিশুটি চিৎকার করে ঘর থেকে চলে আসার চেষ্টা করলে তাকে চড়-থাপ্পড় মারে। এরই একপর্যায়ে শিশুটিকে গলা টিপে হত্যা করে বস্তার মধ্যে খাটের নিচে রেখে দেয়। পরে তার বাবা-মা বাড়িতে আসলে তাদেরকে ঘটনাটি খুলে বললে ভোররাতে রাজুর বাবা রেজাউল বস্তাবন্দি মরদেহটি বাঁশঝাড়ে ফেলে দেয়।

ঘটনার পর পুলিশ সুপার সালাম কবির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে গিয়ে বিভিন্ন জনকে জিজ্ঞাসাবাদ ও আলামত সংগ্রহের মাধ্যমে ঘটনার সত্যতা আঁচ করতে পেয়ে ইরামদের প্রতিবেশী রেজাউল ও তার ছেলে রাজু আহম্মেদকে আটকের নির্দেশ দেন। আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে রাজু বলাৎকারের চেষ্টা ও হত্যার কথা স্বীকার করে। পরে রাজুর বাড়ি থেকে ইরামের স্যান্ডেল, রক্তমাখা জামা ও একটি বস্তা উদ্ধার করে পুলিশ। ইরামের বাবা এনামুল হোসেন সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৩০ জানয়ারি) বিকেলে ইরাম খেলতে বাইরে গিয়ে আর বাড়ি না ফিরলে, অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাকে না পাওয়ায় রাতে এলাকায় মাইকিং করা ও থানায় একটি জিডি করে ইরাম এর এনামুল,শুক্রবার সকালে স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে ইরামের বস্তাবন্দী মৃতদেহ চকশ্যাম গ্রামের ভিতরের একটি বাঁশঝাড় থেকে শিশুটির বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

জাগো নিউজ

মন্তব্য করুন