ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের জেলা প্রতিনিধি আক্কাস সিকদারের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

 

২৮ জুলাই বুধবার রাতে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শারমিন মৌসুমি কেকা বাদী হয়ে ঝালকাঠি থানায় এ মামলাটি করেন।

ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ফেসবুক একটি পোস্টে কমেন্টের সূত্রধরে বুধবার রাতে মামলাটি করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নাজমুন জামান জানান, গত ১৫ জুলাই একজনের ফেসবুক পোস্টে পশুহাটের চাঁদাবাজি নিয়ে স্বরাষ্ট্র ও সেতুমন্ত্রীকে জড়িয়ে একটি কমেন্ট করেন আক্কাস সিকদার। তার কমেন্টে দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হওয়ায় এ মামলা দায়ের করেছেন বলে এজাহারে উল্লেখ করেছেন মামলার বাদী।

মামলার বাদী শারমিন মৌসুমী কেকা বলেন, ‘তিনি আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে লিখেছেন, তাই জেলা আওয়ামী লীগের সবাইকে চিঠি দিয়েছি- আমু ভাইকে চিঠি দিয়েছি। সবার অনুমতি নিয়েই ডিজিটাল আইনে মামলা করেছি। গত বছরের বিষয়টি ছিল মেয়র নির্বাচনের বিষয় নিয়ে- এরসঙ্গে এই মামলার কোন যোগ নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘তিনি বিএনপি করে বিএনপি-আওয়ামী লীগকে ম্যানেজ করে প্রেসক্লাবের সেক্রেটারি হয়েছেন। তিনি যাতে সেক্রেটারি না থাকতে পারে সেজন্য আমরা আজ জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি। এই মালায় আরও অজ্ঞাত তিন জন আছেন।’

মামলার আসামি সাংবাদিক আক্কাস সিকদার অভিযোগ করেছেন, গত বছরের সেপ্টেম্বরে মাসে আওয়ামী লীগ নেত্রী শারমিন মৌসুমী কেকার বিরুদ্ধে এক নারীর চুল কাটা এবং একটি বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার ভেঙে স্টল নির্মাণ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশ করায় তিনি আমার ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন। চুল কাটার ঘটনায় কেকার বিরুদ্ধে ১৭ সেপ্টেম্বর ঝালকাঠির আদালতে মামলা হয়েছিল। সেই জের ধরে তিনি আমার নামে এ মামলা করেছেন।

এ মামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের সভাপতি চিত্তরঞ্জন দত্ত, সহসভাপতি দুলাল সাহা, মানিক রায়, সহ সাধারণ সম্পাদক কে এম সবুজ, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক অলোক সাহাসহ সকল সদস্য।

দ্য ডেইলি স্টার । প্রথম আলো

মন্তব্য করুন