ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় একটি মাদরাসা পরিদর্শনের সময় উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজারের কাছে সিলিং ফ্যান দাবি করায় পারভেজ হোসেন নামে এক ছাত্রকে বেধরক মারধরের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি উপজেলার রয়েড়া দাখিল মাদরাসার। মারধরের শিকার ওই ছাত্রকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা যায়, ২৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মতিউর রহমান রয়েড়া দাখিল মাদরাসা পরিদর্শনে যান। ক্লাস পরিদর্শনের সময় ৫ম শ্রেণির ছাত্র পারভেজ হোসেন ওই কর্মকর্তার কাছে ক্লাসরুমের জন্য একটি ফ্যান দাবি করেন। পরিদর্শন শেষে উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মাদরাসা ত্যাগ করতে না করতেই সহকারী সুপার লিয়াকত হোসেন দরজা বন্ধ করে পারভেজকে মারপিট শুরু করে।

এ ঘটনায় একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, স্কুল পরিদর্শনকালীন শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে ফ্যানের আবেদন করায় ক্লাসরুমের দরজা বন্ধ করে পারভেজকে মারধর করা হয়েছে।

পারভেজের মা পারুলা খাতুন জানান, তার ছেলে ক্লাসরুমের জন্য মৌখিকভাবে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নিকট সিলিং ফ্যানের দাবি করে। সে কিছুটা চঞ্চল প্রকৃতির হলেও অভদ্র নয় এবং অন্যায় করে না বলে দাবি করেছেন। এছাড়াও ওই শিক্ষকের কঠোর শাস্তির দাবি জানান।

এ ঘটনায় মাদরাসা সুপার কামাল উদ্দিন মোবাইল ফোনে জানান, বিষয়টি দুঃখজনক। তিনি তিন দিনের ছুটিতে ঢাকায় অবস্থান করছেন। অপরদিকে, অভিযুক্ত শিক্ষকের ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে শৈলকুপা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার কনক হোসেন জানান, মাদরাসা ছাত্র পারভেজ হোসেন এখন অনেকটাই সুস্থ। তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু তারা এখনও হাসপাতার ত্যাগ করেনি।

দৈনিক শিক্ষা

মন্তব্য করুন