গাজীপুরের টঙ্গীতে একটি মাদ্রাসায় ‘পড়া না পারায়’ এক শিশুকে পিটিয়ে জখম করেছেন তার এক শিক্ষক। পাগাড় এলাকায় নূরুল কোরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসায় ২২ ফেব্রুয়ারি শনিবার এ ঘটনা ঘটে বলে সাত বছর বয়সী ওই ছাত্রের স্বজনরা জানান।

আহত শাওনকে (৭) টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাষ্টার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

শাওনের বাবা মো. মোজাম্মেল হোসেন বলেন, তিনি জুটের ব্যবসা করেন; আর তার স্ত্রী চাকরি করেন স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায়। তাদের সাত বছর বয়সী ছেলে শাওন ও পাঁচ বছর বয়সী মেয়ে তানিয়া আক্তার পাগাড় এলাকার নূরুল কোরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসায় পড়ে। সেখানে তারা সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত থাকে।

শাওন বাংলায় দ্বিতীয় শ্রেণিতে এবং তানিয়া আক্তার প্রথম শ্রেণিতে পড়ার পাশাপাশি ওইখানে শিক্ষক হাফেজ মো. মিরাজুল ইসলামের কাছে কোরআন শিক্ষা করে বলে জানান তিনি।

মোজাম্মেল বলেন, শনিবার শাওন ও তানিয়াসহ আরও কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রী মিরাজুল ইসলামের কাছে পড়তে বসলে শাওন ওই শিক্ষককে পড়া দিতে ব্যর্থ হয়।

“এতে শিক্ষক তাকে বেত দিয়ে পিটানোর চেষ্টা করেন। এ সময় শাওন সরে গেলে বেতের আঘাত লাগে আরেক শিশুর গায়ে। এতে শিক্ষক মিরাজুল আরও রেগে গিয়ে শাওনকে বেধড়ক পিটুনি দেন।”

খবর পেয়ে শাওনের বাবা মোজাম্মেল, আত্মীয় রিক্তা ও প্রতিবেশী রফিকুল ইসলাম শাওনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

বিডি নিউজ

মন্তব্য করুন