টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে মাদ্রাসা শিক্ষকের বেদম বেত্রাঘাতে তৌফিকুর রহমান (১২) নামে এক শিশুছাত্র গুরুতর আহত হয়েছে। আহতাবস্থায় ওই শিশুকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।  ১৬ আগস্ট রবিবার সন্ধ্যায় ইব্রাহীম খাঁ হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও ইসলামী কিন্ডারগার্টেনে এই ঘটনা ঘটে।

 

আহত তৌফিকুর রহমান পৌর এলাকার পশ্চিম ভূঞাপুর গ্রামের তুষার আহম্মেদ বুলবুলের ছেলে ও ইব্রাহীম খাঁ হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও ইসলামী কিন্ডার গার্টেনের হেফজ বিভাগের ছাত্র।

১৭ আগস্ট সোমবার সকালে সরেজমিনে ভূঞাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে, মারধরের শিকার তৌফিকুর হাসপাতালে পুরুষ ওয়ার্ডের ২ নম্বর বেডে শুয়ে ব্যথার যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে।

সে জানায়, ওই মাদ্রাসার শিক্ষক হযরত আলী পড়া না পারায় গাছের ডাল দিয়ে তৌফিকুরকে মারধর শুরু করেন। মারধরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের সৃষ্টি হয়েছে তার। পরে বিষয়টি অভিভাবকদের জানালে তারা তৌফিকুরকে হাসপাতালে ভর্তি করে।

তবে শিক্ষক হযরত আলী বলেন, ‘বারবার বোঝানোর পরও গত কয়েক দিন ধরে ওই শিক্ষার্থী কোনো পড়া দিতে পারেনি। পরে রেগে গিয়ে তাকে বেত দিয়ে মারধর করেছি। মারধর একটু বেশি হয়ে গেছে, এতে আমি খুবই মর্মাহত।’

এ বিষয়ে ওই মাদ্রাসার সভাপতি আব্দুছ সোবহান বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। তবে কি কারণে শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়েছে সেটা জানতে পারিনি। হাসপাতালে ওই শিক্ষার্থীকে দেখতে গিয়েছিলাম।’

ভূঞাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার নিশাত সাইয়ীদা বলেন, ‘ওই শিক্ষার্থীর হাত-পা ও উরু এবং ঘারসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারধরের কারণে লাল হয়ে ফুলে জখম হয়ে গেছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরীন পারভীন জানান, এ ঘটনায় শিক্ষকসহ ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকা টাইমস

মন্তব্য করুন