টেকনাফের এক ধর্মীয় সংখ্যালঘু ব্যবসায়ী অপহৃত হওয়া ও ছিনতাইয়ের কবলে পড়ার অভিযোগে টেকনাফ থানায় মামলা করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। টেকনাফ পৌরসভার কুলালপাড়ার অধিবাসী ব্যবসায়ী দিলীপ কুমার ধর এ প্রতিনিধিকে জানান, গত ১৬ মে সকাল প্রায় সাড়ে ১০টায় প্রকাশ্যে কায়ুখখালী সেতুর ওপর থেকে ৪ সন্ত্রাসী নম্বর প্লেটবিহীন একটি মাইক্রোবাসযোগে অস্ত্রের মুখে তাকে অপহরণ করে এবং পাশের একটি হোটেলের ২২ নম্বর কক্ষে নিয়ে গিয়ে নগদ ২০ হাজার টাকা, সাড়ে ১১ হাজার টাকার সোনার চেইন ও আংটি এবং ২ লাখ ২৫ হাজার টাকার ইসলামী ব্যাংকের একটি চেক নিয়ে নেয়। যার হিসাব নং এসবি-১৯১/৭নং এবং চেক নং- এমএসসি-০২-৯৪২৫৭। চেকটি আনিসুল ইসলাম লিটনের নামে লিখতে বাধ্য করে। এরপর অপহরণকারীরা প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দেয়ার এবং এ ঘটনা কাউকেও না বলার শর্তে তাকে ছেড়ে দেয়। কাউকে বললে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এর পরপরই দিলীপ টেকনাফ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন; কিন্তু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিভিন্ন অজুহাতে অভিযোগটি মামলা হিসেবে লিপিবদ্ধ করতে গড়িমসি করেন। গত ১৭ মে মামলার ব্যাপারটি জানার জন্য থানায় গেলে অপহরণকারীরা বিভিন্নভাবে নাজেহাল করে তাকে থানা থেকে বের করে দেয়। দিলীপ জানান, অপহরণকারীরা সরকারি দল তথা বিএনপির লোক। দিলীপ থানায় মামলা দায়ের করতে ব্যর্থ হয়ে ১৯ মে অপহরণ ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ লিপিবদ্ধ করে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করতে বাধ্য হয়েছেন। মামলায় আসামি করা হয়েছে নুরুল আলম নুরু, সোহেল, রেজা ও আবদুস সালামকে। আদালত বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
সংবাদ, ২২ মে ২০০২