টেন মিনিটস স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আয়মান সাদিককে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) কর্মকর্তারা বলছেন, হুমকির বিষয়টি জানতে পেরে তাঁরা নজরদারি শুরু করেছেন।
সিটিটিসির উপকমিশনার সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আয়মান সাদিক ও টেন মিনিটস স্কুলকে হুমকি দিয়ে বেশ কিছু ভিডিও তৈরি হয়েছে। ভিডিওগুলো দেখে আমরা আয়মানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।’ সাইফুল ইসলাম আরও বলেন, এই ভিডিওগুলো কারা তৈরি করছে এবং কারা ছড়াচ্ছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
দেখা গেছে, ফেসবুকের একটি পেজ থেকে একটি ভিডিও আপলোড করা হয়েছে। সেখানে টেন মিনিটস স্কুলের বিরুদ্ধে শ্রোতা ও দর্শকদের খেপিয়ে তোলার চেষ্টা রয়েছে। দেখা গেছে, শুধু একটি পেজ থেকে ওই ভিডিও শেয়ার হয়েছে ৯ হাজার ৬০০ বার। এতে প্রতিক্রিয়া দেখান হয়েছে ১৫ হাজার বার এবং মন্তব্য এসেছে ১ হাজার ৩০০টি।
৫ জুলাই রোববার আয়মান সাদিক তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে একটি ভিডিওতে বলেছেন, ‘…ফেসবুক, ইউটিউব, সব জায়গায় আমাকে মেরে ফেলার জন্য বলা হচ্ছে, টেন মিনিটস স্কুলের অনেককে মেরে ফেলার জন্য বলা হচ্ছে। টেন মিনিটস স্কুলকে বয়কট করার জন্য বলা হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই স্কুলে আছে ১৭ হাজার ৪৪০টি ভিডিও টিউটোরিয়াল। প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষা, সফটওয়্যার ও প্রফেশনাল স্কিলবিষয়ক এই ভিডিওগুলো বিনা মূল্যে দেখা যায়।’
উল্লেখ্য, টেন মিনিটস স্কুল এশিয়া প্যাসিফিক আইসিটি অ্যালায়েন্ট অ্যাওয়ার্ডস, বাংলাদেশ ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড, ব্র্যাক মন্থন অ্যাওয়ার্ড, ২০১৬ গ্লোবাল এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ সামিট, গ্লোমো অ্যাওয়ার্ড এবং দ্য কুইনস ইয়ং লিডার্স অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে।
সিটিটিসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভিডিওটি দেখে মনে হয়েছে এর সঙ্গে আনসার আল ইসলামের যোগসূত্র আছে। তাদের পরিচালিত বিভিন্ন চ্যানেলে এই ভিডিও আপলোড ও শেয়ার করা হয়েছে।