ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় ‘সমকামিতার’ অভিযোগে এক গৃহবধূর (২০) চুল কেটে বিবস্ত্র করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আলম (৫২) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।

 

৭ নভেম্বর রবিবার সকালে নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়।

নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূ বলেন, শনিবার রাতে আলমসহ আরও ৪ থেকে ৫ জন নারী-পুরুষ মিলে তাকে ডেকে নেয়। এর পরে তাকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করা হয়। একপর্যায়ে গৃহবধূর মাথার সব চুল কেটে দেয়। চিৎকার করে আকুতি করলেও তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়নি।

এ ঘটনার বিচার ওই গৃহবধূ বলেন, আমি কোনো দোষ করিনি। আমার কাপড় ছিঁড়ে চুল কেটে দিল। তারা আমার সঙ্গে ওই ব্যক্তির মেয়ের ‘অবৈধ সম্পর্কে’র অভিযোগ তুলেছে। এটা সত্য নয়।

আটক আলম বলেন, ‘আমার মেয়ের সঙ্গে ওই গৃহবধূর অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। সেই জন্যে আমি মেয়ের বিয়ে দিতে পারছি না। তাই মেয়েটিকে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসা করি কিন্তু সব অস্বীকার করে। তখন আমার ওপরে গরম দেখাতে থাকে। এ জন্য দু একটা চড় থাপ্পড় দিয়ে চুল কেটে দেওয়া হয়েছে।’

তবে একটা মেয়ের সঙ্গে আরেকটা মেয়ের অবৈধ সম্পর্ক থাকা কীভাবে সম্ভব জানতে চাইলে আলম জানান, ওই গৃহবধূকে মাঝে মাঝে জিনে ধরে।

এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ তানভীরুল ইসলাম জানান, ঘটনা জানার পর পুলিশ পাঠিয়েছি। সেখান থেকে আলম নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হলেও অন্যরা পালিয়ে যায়। এই বিষয়ে নির্যাতিত ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে থানায় এটি অভিযোগ করেছে।

দেশ রূপান্তর

মন্তব্য করুন