সিরাজগঞ্জ সদরে ইউপি নির্বাচনে সংবাদ সংগ্রহে যাওয়া সাংবাদিকদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে।

 

৭ নভেম্বর  রোববার বেলা ১১টা দিকে শিয়ালকোল বাজার এলাকায় এই হামলা হয়।

এই ঘটনার পরপরই সাংবাদিকরা সিরাজগঞ্জ-নলকা সড়কে দেড়ঘণ্টা অবরোধ করেন। পরে পুলিশ সুপারের আশ্বাসে তারা অবরোধ প্রত্যাহার করেন।

স্থানীয় সাংবাদিকরা বলেন, শিয়ালকোল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির দাবিতে স্বতন্ত্র ৪ প্রার্থী সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। ওই সংবাদ সম্মেলনে যোগ দিতে যাওয়ার পথে স্বতন্ত্র প্রার্থী মঞ্জুরুল আলম মঞ্জুর মিছিলের উপরে হামলা হয়।

এই হামলার সময় ছবি তুলতে গেলে প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি ইসরাইল হোসেন বাবুসহ কয়েকজন সাংবাদিকদের উপর হামলা চালায় করে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকরা। তারা সাংবাদিকদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে অস্ত্র প্রদর্শনও করে।

শিয়ালকোল এলাকায় তাৎক্ষণিকভাবে সড়ক অবরোধে অংশ নিয়ে সাংবাদিক নেতারা সমাবেশ ও বিক্ষোভ করেন।

তারা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থক ও কিছু বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দ্বারা হামলা শিকার হন বলে অভিযোগ করেন। তারা হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

সাংবাদিক সাজিরুল ইসলাম সঞ্চয়ের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাকিরুল ইসলাম সান্টু, সহ-সভাপতি ইসরাইল হোসেন বাবু, যুগ্ন সম্পাদক আব্দুল মজিদ সরকার, সাবেক সভাপতি হারুন-অর-রশিদ খান হাসান, দপ্তর সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সাবেক অর্থ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান উজ্জ্বল, জহুরুল ইসলাম, সাংবাদিক স্বপন চন্দ্র দাস, রহমত আলী, সেলিম শিকদার, বদরুল আলম দুলাল প্রমুখ।

সমাবেশে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের অর্ধশতাধিক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, অবরোধের সংবাদ পেয়ে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। কর্মসূচি চলাকালে সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম মোবাইলে সাংবাদিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন।

হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়।

এই ব্যাপারে শিয়ালকোল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সেলিম রেজা বলেন, “আমি ছিলাম না, ছেলেরা করেছে। আমি জানি না কারা ছিল।”

সেলিম রেজা সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি।

এদিকে, সাংবাদিকদের কর্মসূচি শেষ হওয়ার পর শিয়ালকোল কলেজ মাঠে স্বতন্ত্র চার প্রার্থী সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

তারা অভিযোগ করে করেন, এখানে নির্বাচনী পরিবেশ বিনষ্ট করতে বহিরাগত সন্ত্রাসী নিয়ে এসে প্রতিদিনই মহড়া দেওয়া হচ্ছে। আওয়ামী লীগ প্রার্থী এক ভোট পেলেও চেয়ারম্যান হবেন – এমন ঘোষণা দিচ্ছেন তারা। পাশাপাশি ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন স্বতন্ত্র চেয়ারমান প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম বাবু, এরশাদ রানা, মঞ্জুর আলম মঞ্জু ও আব্দুস সালাম।

আগামী ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে শিয়ালকোল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হবে। এখানে চেয়ারম্যান পদে মোট ছয় জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

মন্তব্য করুন