ঢাকার ধামরাইয়ে ধর্ষণের শিকার এক স্কুলছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য স্থানীয় কয়েকজন মাতাববর রফার চেষ্টা চালিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ধামরাইয়ের কুশুরা ইউনিয়নের দক্ষিণ কান্টাহাটি গ্রামে।

 

জানা গেছে, ধামরাইয়ের কান্টাহাটি এলাকার এক স্কুলছাত্রী পাশের রাজ্জাক মিয়ার বাড়িতে টেলিভিশন দেখতে যায়। এসময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুয়োগে তার ছেলে কান্টাহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি শামীম হোসেন ওই ছাত্রীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে। বিষয়টি কাউকে বললে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেয় শামীম। এরপর ওই মেয়ে বিষয়টি আর কাউকে বলেনি। এক পর্যায় মেয়েটির শারীরিক অবস্থা দেখে সন্দেহ করে পরিবারের লোকজন। এরপর ১৬ এপ্রিল বুধবার পরিবারের লোকজন স্থানীয় একটি হাসপাতালে পরীক্ষা করার পর অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি জানতে পারেন।

এসময় মেয়েটি পাশের বাড়ির শামীম হোসেন তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে বলে জানায়। এরপর পরিবারের লোকজন বিষয়টি মামলা করার প্রস্তুতি নিলে সোমবার স্থানীয় মাতাব্বর আলীম উদ্দিন বিষয়টি মিমাংসার করার জন্য স্থানীয় জামিল হোসেনের বাড়িতে সালিশ বসে।

স্থানীয়রা জানান, সালিশে ধর্ষক শামীম হোসেনের সঙ্গে ১৫ লাখ টাকা কাবিনে ও ২০ শতাংশ জমি লিখে দিয়ে অন্তঃসত্ত্বা মেয়ের সঙ্গে বিয়ের সিদ্ধান্ত হয়। এসময় ধর্ষকের প্রথম স্ত্রী তাতে বাধা দেন। এক পর্যায় সালিশ ফের মঙ্গলবার রাতে বসার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এ ব্যাপারে ধর্ষিতার মামা জানান, বিষয়টি মামলা করতে না দিয়ে এলাকার মাতাব্বররা মিমাংসার চেষ্টা চালাচ্ছে। এছাড়া লজ্জায় অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়া মেয়েটি অন্য গ্রামে আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানান।

মানব জমিন

মন্তব্য করুন