চিকিৎসক ও টিভি উপস্থাপক আব্দুন নূর তুষার ফেইসবুকে এক পোস্টে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রসঙ্গ টেনে তীর্যক মন্তব্য করায় থানায় এজাহার দিয়েছে ছাত্রলীগের এক নেতা।

 

২১ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল মামলার এজাহার জমা দেন। এজাহারে ডা. তুষারসহ অজ্ঞাত আরও ৬৩৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এজহারে বলা হয়, গত ২০ এপ্রিল সন্ধ্যা ৬টায় ডা. আব্দুন নূর তুষার তার ফেইসবুক আইডি থেকে একটি স্ট্যাটাসে লেখেন “আজ ২০-০৪-২০২০ ইং শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ, বগুড়ায় করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ পরীক্ষার আরটি পিসিআর ল্যাব উদ্বোধন করা হয়।

“সামাজিক দূরত্বের নমুনা দেখুন। পুরো দেশটাই বি-বাড়িয়া বলদ বাড়িয়া।”

গত ১৮ এপ্রিল করোনাভাইরাসের মহামারীর মধ্যে জনসমাগমের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাজার হাজার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে খেলাফত মজলিশ নেতা মাওলানা জুবায়ের আহমদ আনসারীর জানাজায় অংশ নেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এই জানাজায় ভিড়ভাট্টা নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এ জনসমাগম রোধ করতে না পারায় ওই থানার ওসিকে প্রত্যাহার করেও সরকার।

এই ছবি দিয়ে তিনি ওই মন্তব্য করেছিলেন

ডা. তুষার ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপনের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার প্রায় ৩২ লাখ মানুষের মনে ক্ষোভ ও উত্তেজনা উস্কে দেন’ উল্লেখ করে এজহারে আরও বলা হয়, “এই পোস্টের কারণে যে কোনো সময় যে কোনো স্থানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সন্তানরা বিবাদ ও কলহের সম্মুখীন হওয়ার পথ সুগম করে দিয়েছেন ডা. তুষার।”

এ বিষয়ে মামলাকারী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল বলেন, “আসামিদের এ অপকর্মে জেলাবাসীর মতো আমিও অপমানিত ও মর্মাহত হয়েছি।

“বলদ বাড়িয়া বলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৩২ লাখ মানুষকে অপমান করা হয়েছে।”

এর মাধ্যমে অন্য জেলার মানুষের সাথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মানুষের সংঘর্ষের আশঙ্কাও দেখছেন তিনি।

তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ শাহজাহান জানান, জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে মামলাটি নথিভুক্ত করা হবে।

বিডি নিউজ

মন্তব্য করুন