ঢাকার ধামরাইয়ে নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর ১৭ দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করেছে স্থানীয় এক ইউপি মেম্বারের ভাতিজা। ওই স্কুলছাত্রী কাটাবই গ্রামের বাসিন্দা। তার দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী অপহরণকারী ধর্ষক ওই ইউপি মেম্বারের ভাতিজা আব্দুল আলীকে গ্রেফতার করেছে ধামরাই থানা পুলিশ।

 

২০ জানুয়ারি বুধবার সকালে অপহরণকারী ওই ধর্ষকের গোপন আস্তানা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ ব্যাপারে আদালতের নির্দেশে ধামরাই থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে, উপজেলার ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের কাটাবই গ্রামে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাইরে বের হয়। এ সময় ঘরের বাইরে ওঁতপেতে থাকা ইউপি মেম্বার সোলাইমান হোসেনের ভাতিজা ও কাটাবই গ্রামের মানসুর রহমানের বখাটে ছেলে আব্দুল আলী সদলবলে ওই স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে। এরপর একটি গোপন আস্তানায় আটকে রেখে ১৭ দিন ধরে ধর্ষণ করে। বিষয়টি এলাকায় কানাঘুষা হতে থাকলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ শাহআলমের চাপে অপহরণকারী আব্দুল আলী ধর্ষিতা ওই স্কুলছাত্রীকে মঙ্গলবার রাতে গ্রামের রাস্তার পাশে হাত-পা ও মুখ বেঁধে ফেলে রেখে যায়।

পথচারিরা দেখতে পেয়ে ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। তার দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আদালতে এ ব্যাপারে ওই ধর্ষকের বিরুদ্ধে পিটিশন করা হয়। আদালত থেকে এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের নির্দেশ দেয়া হলে ধামরাই থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের হয়।

ধর্ষিতার পিতা বলেন, আমার মেয়েকে উদ্ধারের পর তার দেয়া জবানবন্দি মোতাবেক আদালতের নির্দেশে থানায় মামলা দায়ের হয়। এরপর বুধবার সকালে পুলিশ ওই অপহরণকারীকে গ্রেফতার করে।

উপ-পুলিশ পরিদর্শক(এসআই) নুর মোহাম্মদ বলেন, গোপন খবরের ভিত্তিতে বুধবার সকালে অপহরণকারী ওই ধর্ষককে গ্রেফতার করি। তাকে আদালতে প্রেরণ করা হলে বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেন।

যুগান্তর

মন্তব্য করুন