দিনাজপুর সদর উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রামে দশম শ্রেণির এক ছাত্রী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে থানায় অভিযোগ করেছেন ওই ছাত্রীর মা। ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।

এ বিষয়ে ১৮ ডিসেম্বর বুধবার দিবাগত রাতে ওই স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে দিনাজপুর কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, দিনাজপুর সদর উপজেলার স্কুলে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখে রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে বাড়ি ফিরছিল ওই ছাত্রী। রাত সাড়ে ৯টায় মঙ্গলার বাজার এলাকায় জনৈক আলতাফের দোকানের কাছাকাছি পাকা রাস্তায় পৌঁছালে তিনজন তাকে জোরপূর্বক ৩০০ গজ দূরে পাথারিয়া পুকুরপাড়ে ধরে নিয়ে যায়।

এতে আরো বলা হয়, সেখানে ওই তিন ব্যক্তি স্কুলছাত্রীর মুখ ও হাত-পা বেঁধে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের এক পর্যায়ে ওই স্কুলছাত্রী জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। স্কুলছাত্রী জ্ঞান হারালে ধর্ষণকারীরা তাকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় মৃত ভেবে পুকুরের পানিতে ফেলে পালিয়ে যায়। পুকুরে ফেলার পরে জ্ঞান ফিরলে কোনোরকমে ওই ছাত্রী বাড়ি ফিরে আসে। বাড়িতে এসে রাতেই তার মা ও খালাসহ পরিবারের আরো কয়েকজনকে ধর্ষণের ঘটনাটি খুলে বলে।

রাতে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে রক্তক্ষরণ বন্ধ না হলে পর দিন ১৭ ডিসেম্বর ওই স্কুলছাত্রীকে দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।

এই ঘটনার পর ১৮ ডিসেম্বর বুধবার রাতে স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে দিনাজপুর সদর উপজেলার সুন্দরা জুলকাপাড়া গ্রামের লাল মোহাম্মদের ছেলে মোকছেদুল ইসলাম টুকলু ও অজ্ঞাতনামা আরও দুজনসহ মোট তিনজনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

 

দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. বজলুর রশিদ জানান, দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করার অভিযোগে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে ওই ছাত্রীর মা। আমরা অভিযুক্তদের ধরার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছি।

দেশ রূপান্তর

মন্তব্য করুন