নওগাঁর মান্দায় এক স্কুলছাত্রী (১২) বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। তাকে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। অপহরণের ১২দিন পর গত শুক্রবার স্কুলছাত্রীকে ঢাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। অপহরণ ও ধর্ষণের শিকার ছাত্রী মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরেই আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় বলে স্বজনরা জানান।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ইমরান আলী শাহকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
ছাত্রীর দাদা জানান, ৯ মার্চ স্কুলে প্রাইভেট পড়ার পর বাড়ি ফেরার পথে অপহরণের শিকার হয় ছাত্রী। মান্দা সদর ইউনিয়নের ভোলাম গ্রামের তিন সন্তানের জনক ইমরান আলী শাহ (৪৫) তাকে অপহরণ করেছে বলে জানা যায়। পলাতক ইমরানের পরিবারকে চাপের মুখে রেখে গত শুক্রবার ঢাকা থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করেন স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা। রাতেই ভিকটিমকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। শনিবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হলে গ্রামের লোকজন বিভিন্ন ধরণের মন্তব্য করতে থাকেন। এ অবস্থায় ছাত্রী বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়।
চিকিৎসাধীন স্কুলছাত্রীর বরাত দিয়ে স্বজনরা জানান, ঘটনার দিন প্রতিবেশি ইমরান আলী কথা আছে বলে ছাত্রীর পথরোধ করেন। এরপর চোখেমুখে পানি জাতীয় কিছু ছিটিয়ে দিলে ছাত্রী জ্ঞান হারায়। এরপর অপহরণ করে ঢাকার সাভারে একটি বাসায় নিয়ে আটকে রাখেন। সেখানে ছাত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়। ঢাকায় অবস্থানকালে একটি কাবিননামায় ছাত্রীর স্বাক্ষর নেয়া হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ছাত্রী বর্তমানে আশঙ্কামুক্ত। তবে সুস্থ হতে ২/৩দিন সময় লাগবে বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন।
মান্দা থানার ওসি মোজাফফর হোসেন বলেন, ‘ছাত্রীর নিখোঁজ ঘটনায় একটি জিডি করা হয়েছে। পরবর্তীতে থানায় কোনো মামলা হয়নি। ভিকটিম সুস্থ হলে তার বর্ণনা শুনে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’