নওগাঁয় মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে প্রভাবশালী এক ব্যক্তি। এ ঘটনায় তরুণীর মা বাদী হয়ে জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন।

 

মামলার পর আসামি গত ৬ মাস থেকে কারাগারে আছেন। আপস করতে অভিযুক্তের পরিবার ১৬ মার্চ মঙ্গলবার ওই তরুণীর মাকে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছে।

জাহিদ সদর উপজেলার দেবীপুরের মজিবর রহমানের ছেলে। ওই তরুণী দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেছেন।

অভিযুক্তের পরিবার থেকে ভুক্তভোগীর পরিবারকে মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অবশেষে ভুক্তভোগীর পরিবার চাপে পড়ে আপস করতে বাধ্য হয়।

মঙ্গলবার তরুণীর মায়ের হাতে ৫০ হাজার টাকা দেন অভিযুক্তের বড় ছেলে সজ্জল হোসেন কুইন।

মামলার বাদী তরুণীর মা বলেন, আমরা গরিব মানুষ। ঝামেলায় আর যেতে চাই না। বিষয়টি সমাধানের জন্য জাহিদের ছেলে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছে। এ ছাড়া মঙ্গলবার উকিলের কাছে গিয়ে আপস নামায় আমার স্বাক্ষর নিয়েছে।

জাহিদের ছেলে সজ্জল হোসেন কুইন বলেন, বিষয়টি নিয়ে মানুষ গুজব ছড়িয়েছে। সবারই সম্মানের ক্ষতি হয়েছে। ঘটনা সঠিক মনে হচ্ছে না। গুজব বা যাই হোক না কেন আমরা আপস করার জন্য ভুক্তভোগীর মায়ের হাতে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছি। এখন বাবার জামিনের অপেক্ষায়।

নওগাঁ সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক অবস্থায় ঘটনা সত্য মনে হয়েছে। আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।

যুগান্তর

মন্তব্য করুন