নরসিংদীর শিবপুরে বেসরকারি একটি হাসপাতালের নার্সকে (২০) সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) এ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে থানা পুলিশ।

 

২৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার রাতে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। বুধবার শিবপুর মডেল থানায় দুজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরও দুজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন নির্যাতনের শিকার নার্সের বাবা। শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

আসামিরা হলো– শিবপুরের মজলিশপুর এলাকার তারা ভূঁইয়ার ছেলে হারুন ভূঁইয়া (২০), একই এলাকার মতিন কমান্ডারের ছেলে মনির ভূঁইয়া (২০) এবং অজ্ঞাত দুজন।

ভিকটিমের পরিবার ও পুলিশ জানায়, শিবপুরের মজলিশপুরে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া ছোট বোন সমস্যায় পড়েছেন জানিয়ে দ্রত যাওয়ার জন্য ওই নার্সকে ফোনে খবর দেয় অভিযুক্ত হারুন। সমস্যার কথা শুনে বোনকে ফোনে না পেয়ে রাতে শিবপুরে যান তিনি। পথে রাত ১০টার দিকে মজলিশপুর এলাকায় পৌঁছালে অভিযুক্ত মনির ভূঁইয়া ছোট বোনের কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে তাকে একটি কলাক্ষেতে নিয়ে যায়। সেখানে যাওয়ার পর হারুন, মনির ও অজ্ঞাত আরও দুজন তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ সময় মোবাইল ফোনে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে তারা। পরে অজ্ঞাত দুজন চলে গেলে অভিযুক্ত হারুন ও মনির ওই নার্স অসুস্থ অবস্থায় কলাক্ষেতে পড়ে আছে বলে তার আত্মীয়কে ফোনে খবর দেয়। খবর পেয়ে আত্মীয়রা তাকে কলাক্ষেত থেকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান। পরে থানায় অভিযোগ দেওয়া হলে পুলিশ বুধবার তাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠায়। অভিযুক্তদের মধ্যে মনির ভূঁইয়াকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হলে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

শিবপুর মডেল থানার ওসি বলেন, ‘মামলা দায়েরের পর একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধর্ষণের ঘটনায় সম্পৃক্ততার কথা সে স্বীকার করেছে। বাকি অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।’

বাংলা ট্রিবিউন

মন্তব্য করুন