নাটোরের লালপুরে ছেলের বিয়ের জন্য পাত্রী দেখানোর কথা বলে ডেকে নিয়ে এক গৃহবধূকে (৪০) দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১৮ নভেম্বর) ভোরে এ ঘটনায় জড়িত সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ। পরে বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

 

 

আটকরা হলেন- লালপুর উপজেলার ফুলবাড়ী গ্রামের মৃত আনার আলীর ছেলে রাশেদুল ইসলাম (৩৬), ওয়ালিয়া সেন্টারপাড়া গ্রামের মৃত সফর সরদারের ছেলে আকমল সরদার (৪৫), ওয়ালিয়া আমিনপাড়া গ্রামের মৃত লালমিয়া সরকারের ছেলে রবিউল ইসলাম সরকার (৪৫), ওয়ালিয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত লাল মোহাম্মদ রশিদ সরকারের ছেলে জিল্লুর রহমান (৪২), ওয়ালিয়া বাজারপাড়া গ্রামের সাদ্দাম হোসেনের ছেলে জীবন ইসলাম (২৫), ওয়ালিয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের আব্দুল মন্ডলের ছেলে তরিকুল ইসলাম (৩৫) এবং বড়াইগ্রাম উপজেলার ধানাইদহ গ্রামের মৃত তৌফিক ফকিরের ছেলে রায়হান ফকির (৩৮)।

লালপুর থানার ওয়ালিয়া পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) কৃষ্ণ মোহন সরকার জানান, মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) পার্শ্ববর্তী বড়াইগ্রাম উপজেলার ধানাইদহ এলাকার ওই গৃহবধূকে তার ছেলের বিয়ের জন্য ওয়ালিয়া ইউনিয়নের ফুলবাড়ী গ্রামে পাত্রী দেখানোর কথা বলে ডেকে আনা হয়। পরে রাতে ওয়ালিয়া গ্রামের আমজাম তলা এলাকার নির্জন স্থানে ১২-১৪ জন ব্যক্তি পালাক্রমে তাকে ধর্ষণ করে। পরে ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূ ওয়ালিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে মোট ১৪ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে বুধবার ভোরে ওয়ালিয়া পুলিশ ফাঁড়ির তদন্ত কর্মকর্তা অভিযুক্ত সাতজনকে আটক করেন।

লালপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আটকরা ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

জাগো নিউজ

মন্তব্য করুন