নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় প্রেমের ফাঁদে ফেলে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে শাহিন (২১) নামে এক যুবক। এতে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে স্কুলছাত্রী। বিষয়টি আড়াল করতে স্কুলছাত্রীকে ওষুধ সেবন করায় শাহিন। বুধবার রাতে গর্ভপাত হয় স্কুলছাত্রীর। খবর পেয়ে শাহিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, প্রেমের ফাঁদে ফেলে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে শাহিন। ধর্ষণে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে স্কুলছাত্রীকে ওষুধ সেবন করিয়ে গর্ভের সন্তান নষ্ট করা হয়। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিমলা বাজার থেকে শাহিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শাহিন ডিমলা সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ তিতপাড়া গ্রামের হাফিজুল ইসলামের ছেলে। গ্রেফতারকৃত শাহিন পেশায় একজন ড্রাইভার।
স্থানীয়রা জানান, ডিমলা উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে ড্রাইভার শাহিন। এতে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে স্কুলছাত্রী। বিষয়টি গোপন করতে ওষুধ সেবন করিয়ে গর্ভের সন্তান নষ্ট করা হয়। বুধবার রাতে চার মাসের মৃত সন্তান প্রসব করে ছাত্রী।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিমলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজ উদ্দিন শেখ বলেন, নির্যাতিত ছাত্রীকে গুরুতর অবস্থায় ডিমলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে। এ ঘটনায় ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ডিমলা থানায় মামলা করেছেন।
ওসি আরও বলেন, স্কুলছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করা হয়। এতে স্কুলছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হলে গর্ভের সন্তান নষ্ট করা হয়। এ ঘটনায় ছাত্রীর বাবা মামলা করলে শাহিনকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে। পাশাপাশি নির্যাতিত ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা নীলফামারীর আধুনিক হাসপাতালে সম্পন্ন করা হবে।
সূত্রঃ নীলফামারী
