নেত্রকোনার মদনে ধর্ষণে ৮মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে কিশোরী (১৪)। গভীর রাতে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এলে তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে বলে জানা যায়।
১৭ মার্চ মঙ্গলবার রাতে উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের দেওসহিলা (দক্ষিণকান্দা) গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে ওই রাতেই হাসপাতালের ওয়ার্ডে গেলে কিশোরীকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পাওয়া যায়।
জানতে চাইলে ভুক্তভোগী জানায়, আমি তখন মাদ্রাসায় ৫ম শ্রেনিতে পড়ি। গত বছরের আষাঢ় মাসের ২৫ তারিখ একই বাড়ির আবু বক্কর বাড়িতে না থাকায় তার স্ত্রী নাসিমার অনুরোধে ওদের ঘরে রাতে ঘুমাতে যাই। ওই বাড়ির সেলিমের ছেলে জুয়েল হঠাৎ ঘরে প্রবেশ করে আমাকে উক্ত্যক্ত করতে থাকে।
এক পর্যায়ে আমি রাগন্বিত হয়ে উঠলে নাসিমা আমার মুখে ওড়না দিয়ে চেপে ধরে। এ সময় জুয়েল আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ঘটনাটি প্রকাশ করলে আমার পিতা-মাতাসহ পরিবারের সবাইকে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয়।
এভাবে আরও একাধিকবার ভয় দেখিয়ে আমাকে ধর্ষণ করে। আমি ভয়ে বিষয়টি চেপে রাখলেও আমার শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটতে থাকলে মা-বাবাকে এ ঘটনা জানাই। তারা বিভিন্নস্থানে ঘুরে বিচার না পাওয়ায় ১০ মার্চ ২০২০ইং তারিখে বাবা হানিফ মিয়া বাদী হয়ে ছয়জনকে আসামি করে নেত্রকোনার মদন কোর্টে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী আরও জানায়, আমার শাররীক অবস্থা খারাপ থাকায় মঙ্গলবার রাতে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। আর যেন কোনো কিশোরীর অবস্থা আমার মতো না হয় সে জন্য ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।
মদন হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার মোঃ সাইফুল্লাহ সজিব জানান, ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক কিশোরী মঙ্গলবার রাতে হাসপাতালে এলে তার অবস্থা আশংকাজনক থাকায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।