নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের মদিনাতুল উলুম ইসলামিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায় রাতের খাবার খেয়ে বিষক্রিয়ায় এক ছাত্র মারা যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আরও ১৭ ছাত্রকে অসুস্থ অবস্থায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়।
মৃত নিশান নুর হাদী (৯) উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের পূর্ব একলাশপুর গ্রামের মো. আনোয়ার হোসেনের ছেলে। সে ওই মাদ্রাসা ও এতিমখানার প্রথম জামাতের ছাত্র ছিল। সোমবার (২ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯ টায় মদিনাতুল উলুম ইসলামিয়া মাদ্রাসা ও এতিম খানায় রাতের খাবারের পর এ ঘটনা ঘটে।
মদিনাতুল উলুম ইসলামিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার সুপারিনটেনডেন্ট ইসমাইল হোসেন বলেন, দুপুরে মাদ্রাসায় মাংস রান্না হয়। রাতে এশার নামাজের পর মাদ্রাসার আবাসিক বিভাগের ১৮ জন ছাত্র ওই মাংস দিয়ে খাবার খেয়ে ঘুমাতে যায়। এক পর্যায়ে রাতে ১৮ জন ছাত্র অসুস্থ হয়ে সবাই পেট ব্যাথায় বমি করতে শুরু করে। এসময় মাদ্রাসার একজন আবাসিক শিক্ষক বিষয়টি জানান এবং একজন স্থানীয় পল্লী চিকিৎসককে ডেকে আনেন। পরবর্তীতে তার পরামর্শ অনুযায়ী অসুস্থ ১৮ ছাত্রকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, প্রথম ধাপে ১৮ জন রাতের খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন, বাকি আর কেউ খাবার খায়নি। ১২০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে এ মাদ্রাসায় ৭০ জন শিক্ষার্থী দৈনিক খাবার খায়।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে খাদ্যে বিষক্রিয়ার (ফুড পয়জনিং) কারণে রাতের খাবার খেয়ে ছাত্ররা অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থদের মধ্যে নিশান নামের এক ছাত্রকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। এছাড়া আরও ১৭ জন ছাত্র অসুস্থ অবস্থায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ কামরুজ্জামান শিকদার বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। খাবারের সঙ্গে কোনও বিষাক্ত পদার্থ মেশানো হয়েছিল কিনা, তা তদন্ত করতে বাকি খাবার পরীক্ষার জন্যে জব্দ করা হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। পরবর্তীতে এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।