নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার হরণী ইউনিয়নে এক তরুণীকে (১৯) রাতের আঁধারে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে নদীর পাড়ে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ওই তরুণী বাদী হয়ে ২৫ অক্টোবর রোববার রাতে স্থানীয় হেলাল উদ্দিন (৪০) ও তার সহযোগী জামসেদকে আসামি করে হাতিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

 

পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে হেলাল উদ্দিনকে ২৬ অক্টোবর সোমবার ভোরে উপজেলার কাজিরটেক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে। তিনি ওই গ্রামের মাহফুজুর রহমানের ছেলে। মেয়েটিকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য সোমবার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

হাতিয়া থানায় দায়ের করা নির্যাতিত মেয়েটির অভিযোগের বরাত দিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মোরশেদ বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক আব্দুল হালিম জানান, ১৮ বছর বয়সী ওই তরুণী পাশের জেলা লক্ষ্মীপুরে একটি বাসায় থাকতেন। গত ৪-৫দিন আগে তিনি তার বাবার বাড়ি হাতিয়া উপজেলার হরণী ইউনিয়নের আসেন। গত শনিবার রাত ১টার দিকে ওই তরুণী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হলে আগ থেকে ওত পেতে থাকা হেলাল ও রহমতপুর গ্রামের বেল্লাল মাঝির ছেলে জামসেদ (৩২) তাকে পেছন থেকে মুখ-হাত চেপে ধরে বাড়ির পাশের রাস্তায় নিয়ে যায়। সেখান থেকে মোটরসাইকেলযোগে চাম্মার ঘাট মেঘনা নদীর পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে জামসেদের সহযোগিতায় হেলাল উদ্দিন মেয়েটিকে রাতভর ধর্ষণ করেন।

হাতিয়া থানার ওসি মো আবুল খায়ের বলেন, এ ঘটনায় রোববার রাতে ওই নারী বাদী হয়ে হেলালকে প্রধান ও জামসেদকে দ্বিতীয় আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। ইতোমধ্যে কাজিরটেক এলাকায় অভিযান চালিয়ে হেলালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। হেলালের সহযোগী জামসেদকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

সমকাল

মন্তব্য করুন