নড়াইলের কালিয়ায় আট বছরের এক শিশুকে নিজ ঘরে আটক করে ধর্ষণ ও গুলি করে হত্যার হুমকির অভিযোগে পুলিশ অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক আব্দুর রউফ মোল্যাকে (৬২) গ্রেফতার করেছে।

 

২৪ আগস্ট মঙ্গলবার বিকালে ধর্ষণের শিকার শিশুর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই দিন সন্ধ্যায় পুলিশ একই গ্রামের মৃত বারেক মোল্যার ছেলে ধর্ষক আব্দুর রউফকে গ্রেফতার করে। বুধবার সকালে ধর্ষককে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শিশুটি অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক আব্দুর রউফের প্রতিবেশী হওয়ার সুযোগে রউফ তার সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন। ১৪ আগস্ট দুপুর ২টার দিকে শিশুটি রউফের বাড়ির পাশের পুকুরে গোসল করতে যাওয়ার পথে পিঠা খাওয়ানোর নাম করে তাকে ডেকে তার বসতঘরে নিয়ে যায়। তারপর সেখানে আটকে রেখে তাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের কথা কারও কাছে বললে শিশুটিকে গুলি করে হত্যার হুমকি দিয়ে ছেড়ে দেয় স্কুলশিক্ষক। ঘটনার পর থেকে ভয়ে শিশুটি কথা বলার শক্তি হারিয়ে ফেলে।

অপরদিকে শিশুটির রক্তক্ষরণ হতে দেখে এবং মেয়েটি কোনো কথা না বলায় তার মা তাকে প্রথমে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।

এছাড়া গত কয়েক দিনের চিকিৎসায় মেয়েটি কথা বলতে শুরু করেছে বলে জানা গেছে। এরপর শিশুটির কাছে জানতে চাইলে সে তার মাকে সব জানায়। আস্তে আস্তে এ ঘটনাটি জানাজানি হলে মঙ্গলবার বিকালে ধর্ষিতার মা কালিয়া থানা পুলিশকে অবহিত করলে ওই দিন সন্ধ্যায় পুলিশ আব্দুর রউফকে গ্রেফতার করে।

কালিয়া থানার ওসি সেখ কনি মিয়া বলেন, ধর্ষণের শিকার শিশুর মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। আসামি রউফ মোল্যাকে গ্রেফতারের পর বুধবার সকালে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

যুগান্তর

মন্তব্য করুন