নড়াইলের কালিয়া ও নড়াগাতীতে বিভিন্ন সংখ্যালঘু অধ্যুষিত গ্রামে সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়ন-নির্যাতন অব্যাহত রয়েছে। কালিয়া উপজেলার চালনা, জয়পুর, মির্জাপুর, লক্ষ্মীপুর, গোবিন্দনগর, নড়াগাতীর নিন্দুপুর, গরীবপুর, শরিফপুর, নলামারা, নড়াগাতী ও জয়নগর গ্রামে বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সন্ত্রাসের শিকার হয়ে ইতোমধ্যে কয়েক শ’ সংখ্যালঘু নারী-পুরুষ গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা ও কাশিয়ানী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের বাড়িতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। নির্বাচনের পরের দিন থেকেই বিএনপির নেতাকর্মীরা ঐসব এলাকায় বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি, বাড়িঘরে হামলা, চাঁদা দাবি করে আসছে। এ ছাড়াও গ্রামে গ্রামে তারা সংখ্যালঘুদের গবাদিপশু জোর করে নিয়ে যাচ্ছে। ভাংচুর করছে পানের বরজ। ঐ এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই এ প্রতিবেদককে এসব তথ্য দেন। তারা অভিযোগ করে বলেন, সাবেক এক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চলছে। অন্যদিকে কালিয়া ও নড়াগাতীর বিভিন্নগ্রাম থেকে পালিয়ে এসে গোপালগঞ্জের বিভিন্ন গ্রামে আশ্রয় গ্রহণকারী সংখ্যালঘুরা নিজ বাড়িতে কবে নাগাদ ফিরতে পারবেন তা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। অনেকেই ইতোমধ্যে দেশ ত্যাগ করার চিন্তাভাবনা করছেন বলে জানা গেছে।
দৈনিক জনকন্ঠ, ১৫ অক্টোবর ২০০১