নড়াইলের লোহাগড়ায় নামে এক কিশোরীকে (১৩) দলবেঁধে ধর্ষণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় কিশোরীর চাচা বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মামলার প্রধান আসামি মুরছালিন মৃধাকে গ্রেপ্তার করেছে। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) নড়াইল সদর হাসপাতালে কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে (২৪ ডিসেম্বর) এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, লোহাগড়ার জয়পুর ইউনিয়নের আড়িয়ারা গ্রামের লাজুক মৃধার ছেলে মুরছালিন মৃধা (১৯) একই এলাকার ওই কিশোরীর সাথে প্রেমের ছলনা করে আসছিল। গত মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কিশোরীর পিতার বাড়ি থেকে মুরছালিন ফুসলিয়ে ওই কিশোরীকে নিয়ে যায়। ওই মঙ্গলবার রাতেই চাচই-ধানাইড় গ্রামে মজিবর এর ইটভাটার ইটকাটা শ্রমিক মিন্টু এর ঘুমানোর কক্ষে নিয়ে আড়িয়ারা গ্রামের লাজুক মৃধার ছেলে মুরছালিন মৃধা (১৯), খায়ের শেখের ছেলে নাছির শেখ (২০), জাকারিয়া মোল্যার ছেলে এনামুল মোল্যা (২২) ও আজিম খানের ছেলে রাসেল খান (১৯) জোরপূর্বক পালাক্রমে কিশোরীকে রাতভর ধর্ষণ করে।
গত বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোর ৬টার দিকে ওই ইটভাটার কাছে কিশোরীকে রক্তাক্ত ও অচেতন অবস্থায় ফেলে রেখে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। পরে চেতনা ফিরে এলে ধর্ষিতা তার এক আত্মীয় বাড়িতে গিয়ে ঘটনা খুলে বলে। ওই আত্মীয় বাড়িতে গিয়ে ধর্ষিতার পিতা ও মা ঘটনা জানতে পারে। পরবর্তীতে প্রতিবেশী মুরাদ শেখ গত শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করে ঘটনা জানালে লোহাগড়া থানা থেকে ধর্ষিতাকে থানায় নিয়ে আসার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়। শুক্রবার ধর্ষিতাকে থানায় এনে চাচা বাদী হয়ে ওই চারজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর ১৯।
লোহাগড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমানুল্লাহ আল-বারী জানান, শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) ভোরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।