নড়াইলে নিখোঁজের একদিন পর উদ্ধার হওয়া ৫ বছরের শিশু ঋত্বিকা বৈরাগির মৃতদেহ ময়নাতদন্তে ধর্ষণের আলামত মিলেছে। সোমবার (৩০ডিসেম্বর) ময়নাতদন্ত শেষে ডাক্তার এ বিষয় নিশ্চিত করেন।
এদিকে মেয়েকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে নিহতের বাবা দশোরত বৈরাগি তার ভাইপো হৃদয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। হৃদয়কে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ জানায়, শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে খাওয়া দাওয়ার পর ঋত্বিকা বাড়ি থেকে বেরিয়ে চাচাতো বোন হৃদিতার সঙ্গে খেলতে তাদের বাড়ি যায়। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে চাচাতো ভাই হৃদয় শিশু ঋত্বিকে ধর্ষণ করে। এতে শিশুটি জ্ঞান হারিয়ে ফেললে নিজের দোষ এড়াতে শ্বাসরোধ করে ঋত্বিকাকে হত্যা করে হৃদয়। পরে তাদের বাড়ির পাশে ঝোপঝাড় বেষ্টিত ডোবার পাড়ে মৃতদেহ ফেলে দেয়। সেখান থেকে পুলিশ রোবাবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে ঋত্বিকার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।
৩০ ডিসেম্বর সোমবার বেলা ১২টার দিকে সদর হাসপাতাল মর্গে নিহতের মৃতদেহের ময়নাতদন্তে তার শরীরে ডাক্তার ধর্ষণের আলামত পান। এ দিন বিকেলে নিহতের বাবার দায়ের করা মামলায় হৃদয়কে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।