পঞ্চগড়ে মরিয়ম খাতুন (১৩) নামে ধর্ষণের শিকার এক কিশোরী আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

সদর উপজেলার গরিণাবাড়ি ইউনিয়নের মোন্নাপাড়া গ্রামে ৬ জানুয়ারি সোমবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। ওই গ্রামের মজিবর রহমানের মেয়ে মরিয়ম স্থানীয় ভাটাপুকুরি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

অভিযুক্ত ধর্ষক পলাশ (২০) একই গ্রামের আজিত আলীর ছেলে এবং পেশায় তিনি রাজমিস্ত্রি। এ ঘটনায় ধর্ষণ ও আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে পলাশের বিরুদ্ধে মরিয়মের মা মর্জিনা বাদী হয়ে সোমবার বিকেলে সদর থানায় মামলা করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, সোমবার ভোরে নামাজের জন্য ঘুম থেকে উঠে স্কুলছাত্রী মরিয়মের মা মর্জিনা বেওয়া দেখেন পাশেই শুয়ে থাকা মেয়েকে পলাশ মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করছে। এ সময় তিনি মাথার চুল ধরে পলাশকে আটকানোর চেষ্টা করলে তাকে ধাক্কা দিয়ে সে পালিয়ে যায়। সকালে তিনি স্থানীয় লোকজনকে ঘটনাটি জানানোর কথা বলে মেয়েকে নিয়ে আবার শুয়ে পড়েন। সকাল সাড়ে ৬টায় তিনি ঘুম থেকে উঠে দেখেন তার মেয়ে ঘরে নেই। বাড়ির পাশে একটি গাছের ডালে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় মরিয়মের দেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানা পুলিশের এসআই মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণ ও আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে পলাশের বিরুদ্ধে মরিয়মের মা মর্জিনা বেওয়া মামলা করেন। এ মামলায় দুপুরে বাসা থেকে পলাশকে গ্রেফতার করা হয়।

জাগো নিউজ

 

মন্তব্য করুন